চৌর্যবৃত্তি ও যৌন নিপীড়ন: দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে কমিটি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট। এর মধ্যে এক শিক্ষকের পিএইচডি অভিসন্দর্ভে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি এবং আরেকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তথ্যানুসন্ধান কমিটি করা হয়েছে৷

আজ রোববার বিকেলে সিন্ডিকেটের এক নিয়মিত বৈঠকে এই দুই কমিটি গঠন করা হয়। উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের এই সভা হয়।

দুজন সিন্ডিকেট সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, দর্শন বিভাগের এক অধ্যাপকের পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে। নকল পিইচডি ব্যবহার করে ওই শিক্ষক ২০২২ সালে অধ্যাপক হন বলে অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আসা এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিন্ডিকেট আজ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে। কমিটির প্রধান কলা অনুষদের ডিন আবদুল বাছির। অন্য দুই সদস্য হলেন সিন্ডিকেট সদস্য আবুল মনসুর আহাম্মদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক মো. নাসিরউদ্দিন মুন্সী।

সিন্ডিকেট সদস্যরা আরও বলেন, ফলিত গণিত বিভাগের এক অধ্যাপক জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগে খণ্ডকালীন ক্লাস নিতেন। এই বিভাগের এক ছাত্রী সম্প্রতি ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিভাগ কর্তৃপক্ষের কাছে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন। বিভাগ সেটি উপাচার্যের কাছে পাঠায়। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আজ সিন্ডিকেট তিন সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি করেছে। আইন অনুষদের ডিন সীমা জামানকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন সিন্ডিকেট সদস্য মাসুদুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ।