আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ, অব্যাহতি পেলেন বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিসহ আটজন

আদালতপ্রতীকী ছবি

কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান ওরফে মুনিয়া হত্যা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। এর ফলে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ অন্যরা।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮–এর বিচারক শওকত আলী আজ বুধবার চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেন। ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক (পিপি) প্রসিকিউটর রেজাউল করিম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পিপি রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান ওরফে মুনিয়া হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন জমা দেয় বাদীপক্ষ। আদালত সব পক্ষের শুনানি নিয়ে পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।

অবশ্য কলেজছাত্রী মোসারাতের বড় বোন নুসরাত জাহানের আইনজীবী মাসুদ সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আদালত পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করায় আসামিরা অব্যাহতি পেয়েছেন। তাই বিচারিক আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাননি ভুক্তভোগীর বড় বোন। আদালতের এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে শিগগির হাইকোর্টে আবেদন করা হবে।

২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন রাতেই তাঁর বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন। এই মামলায় ২০২১ সালের জুলাইয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ডিবির দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন ওই বছরের ১৮ আগস্ট গ্রহণ করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। আদালতের আদেশে মামলা থেকে অব্যাহতি পান একমাত্র আসামি সায়েম সোবহান।

পরে মোসারাতকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে নতুন মামলা করা হয়। তাঁর বোন নুসরাত জাহান ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ নালিশি মামলাটি করেন।

আরও পড়ুন

মামলাটি গুলশান থানাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই মামলায় ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই।

মামলায় সায়েম সোবহান ছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমদ আকবর সোবহান, তাঁর স্ত্রী আফরোজা সোবহান ও সায়েমের স্ত্রী সাবরিনাকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন সাইফা রহমান, ফারিয়া মাহবুব, শারমিন ও ইব্রাহিম আহমেদ। এই মামলায় সাইফা ও ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করেছিল পিবিআই। পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান।