নানা আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আদি নববর্ষ’ উদ্‌যাপন

আদি নববর্ষ উদ্‌যাপনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েমসহ ডাকসু নেতারাছবি: প্রথম আলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও ‘বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্য’–এর যৌথ আয়োজনে পয়লা অগ্রহায়ণ ‘আদি নববর্ষ’ উদ্‌যাপিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে চলে এই উৎসব। সকাল ১০টায় শুরু হ‌য়ে অনুষ্ঠান চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।

আয়োজকদের দাবি, দেশজ সংস্কৃতিচর্চার অন্যতম অনুষঙ্গ হলো নববর্ষ উদ্‌যাপন, যা বর্তমানে পয়লা বৈশাখ হলেও এককালে ছিল পয়লা অগ্রহায়ণ। সম্রাট আকবরের সময় থেকে খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে ‘বৈশাখ’ মাসকে বাংলা বছরের প্রথম মাস হিসেবে প্রচলন করা হয়।

চার পর্বে আয়োজিত হয় এই ‘আদি নববর্ষ’ উৎসব। প্রথম পর্ব শুরু হয় সকাল ১০টায় ‘রংতুলিতে নবান্ন’ দিয়ে। এই আয়োজনে দেশের বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী এবং চারুকলার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জুলাই ও নবান্ন থিমে ছবি আঁকা হয়। ১৫ জন শিল্পী এই ছবি আঁকেন।

অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ ‘আদি নববর্ষ আনন্দযাত্রা’ দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব। এই আনন্দযাত্রার জন্য চারুকলার সহযোগিতায় তিনটি মোটিফ তৈরি করা হয়। একটি মোটিফ জুলাই নিয়ে, একটি জেলেজীবন নিয়ে এবং অন্যটি কৃষিজীবন নিয়ে।

তৃতীয় ও চতুর্থ পর্বে ছিল গ্রামীণ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গ্রামীণ মেলায় গ্রামবাংলার নানা ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলতে দিনব্যাপী নানা আয়োজন ছিল। ‘বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্য’–এর সদস্য ও বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি, নাচ, গান ও জাদু পরিবেশিত হয়।

আদি নববর্ষ উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম বলেন, ‘আজকের দিনটি বেশি স্পেশাল। কারণ, আগামীকাল (সোমবার) খুনি হাসিনার রায় হবে। সেই রায়ের আগে আজকে আমরা চারুকলায় আদি নববর্ষ পালন করছি।’

সাদিক কায়েম আরও বলেন, ‘খুনি হাসিনা ও তাঁর সব দোসরদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক বিপ্লব করতে হবে। এই ফ্যাসিস্টরাই বাংলাদেশের মতো সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। গত ১৬ বছরে খুনি হাসিনার অবৈধ শাসনকে বৈধতা দিয়েছিল কিছু কালচারাল ফ্যাসিস্ট।’

আরও পড়ুন