নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে একটি বিশেষ দলের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম
ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে কোনো একটি বা বিশেষ দলের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা সফররত কমনওয়েলথের প্রাক্‌-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আলোচনার পর তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সবার অংশগ্রহণ নির্বাচনের সৌন্দর্য বাড়ায়। একটি সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, বাংলাদেশের গঠনতন্ত্র ও সংবিধানে বিশ্বাস করে না, এ রকম কাউকে দিয়ে শুধু শোভাবর্ধনের জন্য লোকদেখানো বা শোভাবর্ধনের প্রয়োজন নেই। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে কোনো একটি বা বিশেষ কোনো দলের অংশগ্রহণ ম্যান্ডেটরি (বাধ্যতামূলক) নয়। এটা ম্যান্ডেটরি নয়।’

সম্প্রতি রাজধানীতে একটি সেমিনারে নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। কিসের ভিত্তিতে তিনি নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এর ভিত্তি হলো ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করাতে বিদেশিদের কাছে তাদের অনুনয়-বিনয় বা গ্রহণযোগ্যতা একেবারে শূন্যের কোটায় চলে গিয়েছিল। এসব তো আপনারাও দেখেছেন, আমরাও দেখেছি। রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকতে হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। ৩০ নভেম্বর মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিন। সেদিন পর্যন্ত যে কারও নির্বাচনে আসাটা ওপেন। আবার যে কারও নির্বাচন থেকে সরে আসাটাও ওপেন।’

কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে শাহরিয়ার আলম জানান, অন্যান্য মিশনের মতো এটি একটি অগ্রগামী মিশন। তারা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে ফিরে গিয়ে প্রয়াস চালাবে। সময় খুবই সংক্ষিপ্ত। তারা একেবারে শেষ মুহূর্ত বা দেরিতে এসেছে। তারা রিপোর্টটি খুব দ্রুততার সঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করবে। কমনওয়েলথের কর্তাব্যক্তিদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে, তাঁরা আসবেন কি আসবেন না।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছি যে তাঁরা আসবেন। আমরা নিশ্চিত করেছি যে তাঁদের যে কারিগরি সহযোগিতা দরকার, সেটি আমরা দেব। তাঁরা আমাদের প্রটোকল টিমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাঁরা যদি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসেন, তাহলে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাঁদের সঙ্গে শুধু যে নির্বাচন নিয়ে আলাপ করেছি, তা নয়। কমনওয়েলথের সঙ্গে আরও অনেক ব্যাপারে আমাদের যোগাযোগ আছে। অভিবাসন, নারীর ক্ষমতায়ন বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোয় আমরা অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করে যাব।’

বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘ওনারা জানেন, বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়াতে নির্বাচনের সময়ে একটু রিলেটিভলি ক্যায়োটিক (তুলনামূলকভাবে বিশৃঙ্খল) থাকে। তাঁরা ওয়াকিবহাল।’

আরও পড়ুন