কয়েক হাসপাতাল ঘুরে বিকেলে পেলেন ছেলের নিথর দেহ
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিচতলায় তথ্যকেন্দ্রের সামনে বসার জায়গায় হঠাৎ জটলা। এক ব্যক্তির আহাজারি শোনা যাচ্ছিল। তাঁকে ঘিরে রেখেছেন কয়েকজন। মো. রুবেল নামের সেই ব্যক্তি চিৎকার করে বলছিলেন, ‘বাবা রে, তোকে নিয়ে কত স্বপ্ন ছিল আমার।’
এই বাবার বড় সন্তান তানভীর আহমেদ রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। অর্থাৎ কয়েক ঘণ্টা আগের জীবিত তানভীর এখন নিহতের তালিকায় ওঠা একটি নাম। ছেলের মৃত্যু এই বাবা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।
আজ সোমবার রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে তানভীরসহ ২০ জন নিহত হন। এ তালিকায় রয়েছে পাইলটের নামও।
তানভীরের চাচাতো ভাই তোফাজ্জল হোসেন জানান, তানভীরের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। কয়েক হাসপাতাল ঘুরে বিকেলের দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তানভীরের নিথর দেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
কাঁদতে কাঁদতে তানভীরের বাবা রুবেলের একপর্যায়ে জ্ঞান হারানোর উপক্রম হয়। লোকজন ছোটাছুটি করে তাঁকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছিলেন।