খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবতে হবে

সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মো. মহিউদ্দিনছবি: প্রথম আলো

নিরাপদ খাদ্যের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবারের কথাও ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) মো. মহিউদ্দিন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনা (২০১৬-২০২৫) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভাগীয় বহু খাতভিত্তিক রিসোর্স দলের (ডিএমআরটি) সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অ্যাডাপ্টিং আ মাল্টিসেক্টরাল অ্যাপ্রোচ নিউট্রিশন (আমান) প্রকল্পের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় এ সভার আয়োজন করেন।

মহিউদ্দিন বলেন, ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। সঠিক পরিমাণ ও সঠিক পুষ্টিকর খাদ্য খেতে না পারাই অপুষ্টির মূল কারণ। আমরা পুষ্টিহীন কাউকে দেখতে চাই না। খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। বিষয়টি সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।’

সভায় বক্তারা বলেন, একটি শিশু জন্মগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে মায়ের বুকের শালদুধ দিতে হবে। শিশুকে জন্মের দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধের পাশাপাশি পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। পুষ্টির অভাবে একজন শিশু প্রতিবন্ধী বা বিকলাঙ্গ হতে পারে। পুষ্টি নিয়ে সর্বত্র সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক মোহাম্মদ নওশাদ খানের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সহকারী পরিচালক (স্বাস্থ্য) সুমন বড়ুয়া। সভায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের (বিএনএনসি) মহাপরিচালক মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ আজম, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) শাহিনা সুলতানা, প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ কার্যালয়ের (বিএনএনসি) পরিচালক তাহেরুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক গাজী গোলাম মওলা ও অ্যাডাপ্টিং আ মাল্টিসেক্টরাল অ্যাপ্রোচ নিউট্রিশন (আমান) প্রজেক্টের ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম।