এভারকেয়ার হাসপাতালে বিশ্ব হার্ট দিবস ২০২৫ পালন

ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে বিশ্ব হার্ট ডে ২০২৫ পালন করা হয়েছেছবি: সংগৃহীত

ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ‘বিশ্ব হার্ট ডে ২০২৫’ পালন করা হয়েছে। সম্প্রতি হাসপাতালের মিলনায়তনে ‘ডোন্ট মিস আ বিট’ প্রতিপাদ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আয়োজনের ‘পেশেন্ট ফোরাম’–এ রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞরা রোগীদের হৃদ্‌রোগবিষয়ক সমস্যা ও রোগসংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞরা বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা অনিয়মিত স্পন্দনের মতো উপসর্গ অবহেলা না করার পরামর্শ দেন। তাঁরা বলেন, নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় রোগ শনাক্ত করা গেলে জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। দৈনন্দিন জীবনযাপনে ইতিবাচক পরিবর্তন, যেমন সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত শরীরচর্চা, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, ধূমপান বর্জন, পর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদির মাধ্যমে হার্ট সুস্থ রাখা সম্ভব বলে তাঁরা পরামর্শ দেন।

পেশেন্ট ফোরামে অংশ নেন হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের কো–অর্ডিনেটর ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট এ কিউ এম রেজা, সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক মো. শাহবুদ্দিন তালুকদার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট শামস মুনওয়ার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট আতিকুর রহমান, সিনিয়র কনসালট্যান্ট তামজীদ আহমেদ, এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও কো–অর্ডিনেটর তাহেরা নাজরীন, হার্ট ফেইলিউর ও অ্যারিদমিয়া ইউনিটের সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক এম আতাহার আলী, নন-ইনভেসিভ কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট নিঘাত ইসলাম, কার্ডিওথোরাসিক ও ভাসকুলার সার্জারির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও কো–অর্ডিনেটর মো. জুলফিকার হায়দার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট সোহেল আহমেদ এবং কার্ডিওথোরাসিক অ্যানেস্থেসিয়ার সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও কো–অর্ডিনেটর নিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও রত্নদীপ চাস্কার এবং গ্রুপ মেডিকেল ডিরেক্টর আরিফ মাহমুদ।

এ সময় মা ও শিশুর হার্টের যত্ন নিয়েও সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়। জন্মগত হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে গর্ভধারণের তিন মাস আগে এমএমআর টিকা, ডায়াবেটিস মেলাইটাস নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং গর্ভাবস্থায় টেরাটোজেনিক ওষুধ পরিহারের মাধ্যমে প্রতিরোধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।