ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ১২ দিন পর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়কসহ ৩ নেতাকে বহিষ্কার

চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদছবি সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ, সদস্যসচিব তাজুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। ২০২৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ১৭ সদস্যবিশিষ্ট চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটির অনুমোদন করে জেলা কমিটি। ছাত্রলীগ নেতা সজীব হত্যা মামলায় নাম আসায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকায় চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ, সদস্যসচিব তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান সাজুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলো। একই সঙ্গে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বিলুপ্ত করা হলো।

এর আগে ১২ এপ্রিল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা এম সজীবকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ছাত্রলীগের আরও তিনজন আহত হন। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এমন হামলা হয় বলে জানা গেছে। ঘটনার চার দিন পর ১৬ এপ্রিল দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় এম সজীবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন। চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদকে প্রধান আসামি করে তিনি এ মামলা করেন। এতে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০ জনকে আসামি করা হয়।