সংঘাতপূর্ণ সুদান থেকে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের উদ্ধারে সহযোগিতা করছে সৌদি আরব। বাংলাদেশিদের প্রথম দলটিকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সৌদি আরবে নেওয়া হবে। সেখান থেকে তাঁদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
সুদানে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) তারেক আহমেদ আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, সুদান থেকে দেশে ফিরতে এখন পর্যন্ত প্রায় ছয় শ বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছেন। সেই অনুযায়ী, প্রথম দফায় পাঁচ থেকে ছয় শ বাংলাদেশিকে সুদান থেকে সৌদি আরব হয়ে দেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জানান, আগামী ২ মে রাজধানী খার্তুম থেকে বাসে বাংলাদেশের নাগরিকদের পোর্ট অব সুদানে নেওয়া হবে। সেখান থেকে জাহাজ বা ফেরিতে করে তাঁদের সৌদি আরবে নেওয়া হবে। খার্তুমে সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে সমন্বয় করে তেলসমৃদ্ধ দেশটির সহায়তায় বাংলাদেশের লোকজনকে সৌদি আরবে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
তারেক আহমেদ জানান, সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের লোকজনকে বিমানে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। খার্তুমে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আলী বিন হাসান জাফর বাংলাদেশিদের ফেরানোর ব্যাপারে বিশেষভাবে সহযোগিতা করছেন। আজ দুপুরে সৌদি জাহাজের যাত্রার তারিখ নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশের লোকজনকে ফেরানোর দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে।
সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এর জেরে ১৫ এপ্রিল থেকে দুই বাহিনীর মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘাত শুরু হয়েছে।
এই লড়াইয়ের প্রথম দিনে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের বাসায় আঘাত হানে আরএসএফের মেশিনগানের গুলি। হামলার সময় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ও তাঁর স্ত্রী বাসায় থাকলেও কেউ আহত হননি। পরে ২২ এপ্রিল আরএসএফের গুলি আঘাত হানে বাংলাদেশ দূতাবাসে। ওই সময় দূতাবাসে কেউ ছিলেন না। কারণ, এর আগের দিন থেকে দূতাবাসে কেউ যাচ্ছিলেন না। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের সবাই এখন খার্তুম থেকে প্রায় আড়াই শ মাইল দূরে অবস্থান করে বাংলাদেশিদের উদ্ধারে কাজ চালাচ্ছেন।