ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির ২১ জন হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ শারমিন নিগারের নামে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ও বিচার বিঘ্নিত করার অভিযোগে জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদকসহ ২১ জন হাইকোর্টে হাজিরা দিয়েছেন।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রোববার সকালে ২১ জন হাজির হন। তাঁদের পক্ষে সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী ১ মার্চ শুনানির পরবর্তী তারিখ রেখেছেন। সেদিন ২১ জনকে আদালতে হাজির হতে হবে।

আরও পড়ুন

গত ৫ ও ৮ জানুয়ারি এজলাস চলাকালে কয়েকজন আইনজীবী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ শারমিন নিগারের বিরুদ্ধে অশ্লীল-কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বিচারকাজ বিঘ্নিত করার অভিযোগ ওঠে।

বিষয়টি হাইকোর্টে উত্থাপিত হলে গত ১০ জানুয়ারি আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুর রহমানসহ ২১ জনের প্রতি আদালত অবমাননার স্বতঃপ্রণোদিত রুল দেন। ব্যাখ্যা জানাতে তাঁদের ২৩ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ধার্য তারিখে ২১ জন আদালতে হাজির হন। সেদিন সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ১৯ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য তারিখ রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে।

আদালতে ২১ জনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আবদুন নূর, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

শুনানিতে মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, ‘অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এক মাস সময় দেন। সবাই (২১ জন) উপস্থিত হয়েছেন।’

আদালত বলেন, ‘জবাব (রুল) দেননি?’ তখন মোমতাজ উদ্দিন ফকির ‘না’ সূচক জবাব দেন।

আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি অপর আদালত অবমাননার বিষয়টি (সভাপতি মো. তানভীর ভূঞাসহ তিন আইনজীবীর বিরুদ্ধে) শুনানির জন্য রয়েছে।

এ সময় আদালত ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। তখন মোমতাজ উদ্দিন ফকির মার্চে তারিখ রাখার আরজি জানান। এরপর আদালত ১ মার্চ পরবর্তী দিন রাখেন।