চট্টগ্রামে হকারদের কাছে ‘চাঁদা দাবি’, নারী কাউন্সিলরসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

হকারদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি ও তাঁদের জিনিসপত্র ফেলে দেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সংরক্ষিত ওয়ার্ডের এক কাউন্সিলরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে নালিশি মামলা হয়েছে। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি করেন টেরিবাজার-আন্দরকিল্লা হকার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. লোকমান হাকিম (৪৪)।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন সংরক্ষিত ওয়ার্ড (৭) কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, তাঁর সহযোগী অপু ধর ওরফে রাজ (২৮) ও রহমতগঞ্জ বাইলেইন আবাসিক এলাকার মৃত আবুল ফজলের ছেলে মো. ইসমাইল (৪০)। বাদীর আইনজীবী বিশ্ব শীল প্রথম আলোকে বলেন, আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আন্দরকিল্লা ও টেরিবাজার এলাকার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের (হকার) কাছ থেকে দৈনিক এক হাজার টাকা করে চাঁদা নিয়ে আসছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। সম্প্রতি তাঁদের কাছে দৈনিক দুই হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে হকারদের জিনিসপত্র রাস্তায় ফেলে দেন অভিযুক্তদের লোকজন।

সবশেষ ২০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এবং অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচ থেকে ছয়জন আন্দরকিল্লা জামে মসজিদের ফটকের সামনে ফল বিক্রেতা হাসান আলীর কাছে দৈনিক দুই হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হাসানের ফল রাস্তায় ফেলে দিয়ে তাঁর সাত হাজার টাকার ক্ষতি করেন।

জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অবৈধ হকারদের উচ্ছেদের জন্য কয়েক দিন আগে সিটি করপোরেশন অভিযান চালায়। এরপর তাঁরা আবার বসেন। নিজের এলাকা হওয়ায় তাঁদের উঠে যেতে আমি নিজে অনুরোধ করি। উল্টো তাঁরা আমার ওপর হামলা চালান। এ বিষয়ে স্থানীয় থানা-পুলিশকে অবহিত করি। কোনো হকারের কাছ থেকে চাঁদা দাবির প্রশ্নই আসে না।’