কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে সেই কুতুবের করা আপিলের ওপর রায় ২৯ মে

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদকে বিচারিক আদালতের দেওয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বহাল থাকবে কি না, তা ২৯ মে জানা যেতে পারে। সাজার ওই রায়ের বিরুদ্ধে কুতুবের করা আপিলের ওপর আজ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষ হয়েছে। বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য ২৯ মে দিন ধার্য করেছেন।

আইনজীবীর তথ্যমতে, সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার একটি প্লট তাঁর শ্বশুরসহ কয়েকজনের নামে মালিকানা হস্তান্তরসহ জাল-জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৮ সালে রাজধানীর গুলশান থানায় কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে কুতুবের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১০ মার্চ কুতুব হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০২২ সালের ১৬ মার্চ হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এই আপিলের ওপর আজ শুনানি শেষ হয়।

আদালতে কুতুবের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন ও আইনজীবী নাজমুল হাসান। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার একটি প্লট তাঁর শ্বশুরসহ কয়েকজনের নামে বরাদ্দ ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে দুদক মামলাটি করে। এ মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে ‘ভূমি কুতুবের’ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর করা আপিলের শুনানি শেষে হয়েছে। হাইকোর্ট রায়ের জন্য আগামী বুধবার দিন ধার্য করেছেন।

অবশ্য কুতুবের অন্যতম আইনজীবী নাজমুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, অধিগ্রহণের পর উচ্চ আদালতের আদেশে গেজেটের মাধ্যমে ওই সম্পত্তি ভূমি মন্ত্রণালয় অবমুক্ত করে। পরে সম্পত্তি হস্তান্তর হয়। তবে অবমুক্ত করা নিয়ে রাজউক হাইকোর্টে রিট করলে ২০০৭ সালে তাঁদের পক্ষে রায় যায়। কিন্তু যে সময় অর্থাৎ ২০০৪ সালে যখন ওই সম্পত্তি হস্তান্তর করা হয়, তখন তা রাজউকের সম্পত্তি ছিল না—এসব যুক্তি আপিলে তুলে ধরা হয়েছে। কুতুব কারাগারে আছেন বলে জানান এই আইনজীবী।