প্রতিটি আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার গোপনীয়তার আশ্রয় নিয়েছে: ইফতেখারুজ্জামান

টিআইবি কার্যালয়ে ‘কর্তৃত্ববাদের পতন–পরবর্তী গণমাধ্যম পরিস্থিতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়েছবি: প্রথম আলো

অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিটি আইন করার ক্ষেত্রে গোপনীয়তার আশ্রয় নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। সংস্কার কমিশনের প্রধান হওয়ার পরও তাঁকে অন্য মাধ্যম থেকে অধ্যাদেশের খসড়া পেয়ে মতামত দিতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে ‘কর্তৃত্ববাদের পতন–পরবর্তী গণমাধ্যম পরিস্থিতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এক প্রবন্ধে এ তথ্য জানানো হয়। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করে টিআইবি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এ সরকারের সময় পাস হওয়া বেশ কয়েকটি অধ্যাদেশের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত হতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে সম্পৃক্ত হতে দেওয়া হয়েছে, আমি সেটা বলছি না। আমি সম্পৃক্ত হতে পেরেছি’। তিনি আরও বলেন, ‘দুদক সংস্কার কমিশন যে আশু বাস্তবায়ন প্রস্তাবগুলো সরকারকে দিয়েছিল, অধ্যাদেশ করার সময় তার শতভাগই বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।’

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কমিশনের প্রস্তাবনায় দুদকের জন্য একটি ‘বাছাই’ ও ‘পর্যালোচনা’ কমিটির কথা বলা ছিল। অধ্যাদেশ করার সময় ‘বাছাই’ শব্দটি রেখে ‘পর্যালোচনা’ শব্দটি ফেলে দেওয়া হয়েছে। এটা জানার পর তিনি শীর্ষ পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তাঁরা ‘পর্যালোচনা’ রাখতে রাজি হন। এরপর তিনি জানতে পারেন, সেটা বাতিল করা হয়েছে।

দেশে সংস্কারের পথে বড় অন্তরায় আমলাতন্ত্র বলে মন্তব্য করেন ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আর এর পেছনে হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে রাজনীতিবিদদের “আওয়ার টাইম” সংস্কৃতি। ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিলাম, এবার আমাদের পালা।’ রাজনীতিবিদ ও আমলাতন্ত্রের এমন মানসিকতার কারণে সংস্কারের সম্ভাবনা ঝুঁকিতে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।