গাছ রক্ষায় আন্দোলন অব্যাহত, বিকল্প পথ দেখতে সিডিএকে অনুরোধ বোর্ড সদস্যর

গাছ রক্ষায় দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছেন পরিবেশকর্মীরা। আজ বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস এলাকায়সৌরভ দাশ

চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাসের শতবর্ষী গাছ রক্ষায় এবং দ্বিতল সড়ক অক্ষত রাখার দাবিতে আজ মঙ্গলবারও আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন টাইগারপাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় একটি গাছে লাল কাপড় টানিয়ে দেন তাঁরা৷ সম্মিলিত পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্প নির্মাণের জন্য শতবর্ষী বেশ কিছু গাছসহ ৪৬টি গাছ কাটবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস ও সিআরবি এলাকার এসব গাছ কাটার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংস্থাটি।

সম্মিলিত পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে ওই এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আলা উদ্দিন। তিনি গাছ না কাটার দাবিতে শতবর্ষী গাছে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেন।

এদিকে আন্দোলনের মুখে আজ দুপুরে র‍্যাম্পের জন্য নির্ধারিত টাইগারপাসের মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী সড়ক পরিদর্শন করেছেন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বোর্ড সদস্য ও প্রকল্প পরিচালক।

এ সময় প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, র‍্যাম্পের নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। শতবর্ষী গাছ রক্ষা করে এ নকশা করা হয়। ঈদের পরে পাইলিংয়ের কাজ শুরু করার কথা ছিল। এই র‍্যাম্প নির্মাণ করতে বড় কোনো গাছ কাটা পড়বে না। ছোট ছোট ৪৪টি গাছ কাটা পড়বে। দ্বিতল সড়কে কাজ করা হবে না। নিচের রাস্তা থেকে র‍্যাম্পটি তোলা হবে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, নাগরিক সমাজের আপত্তির বিষয়টি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে কাজ করা হবে, না হলে অন্যভাবে করা হবে।

সম্মিলিত পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে গাছ রক্ষায় বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। আজ বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাস এলাকায়
সৌরভ দাশ

সিডিএর বোর্ড সদস্য ও নগর পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান বলেন, ‘টাইগারপাসের এই দ্বিতল সড়ক এশিয়ার অন্যতম সুন্দর রাস্তা। ৪৪টি গাছের গুরুত্বপূর্ণ আবেদন আছে। র‍্যাম্পের প্রস্থ কমিয়ে সমাধান করা হলেও ৪৪টি গাছ থাকবে না। অন্যদিকে র‍্যাম্প না হলে পলোগ্রাউন্ড টাইগারপাসের কানেক্টিভিটি হচ্ছে না। তখন নিউমার্কেট থেকে আসা গাড়িগুলো জিইসি বা আগ্রাবাদ থেকে উঠতে হবে। যদি ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা না যায়, তাহলে র‍্যাম্প করা না হোক। বিকল্প কোনো পথ বের করা যায় কি না, তা সিডিএকে অনুরোধ করব।’