তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের নিষেধাজ্ঞা রুলের চূড়ান্ত শুনানি কাল

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কোনো ধরনের বক্তব্য-বিবৃতি সব ধরনের গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দেওয়া রুলের চূড়ান্ত শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। আগামীকাল এটি দৈনন্দিন কার্যতালিকায় থাকবে।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

এর আগে তারেক রহমানের সংশোধিত ঠিকানায় নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে আদালতকে জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী কামরুল ইসলাম ও সানজিদা খানম। পরে আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেন।
এ সময় আইনজীবী কামরুল ইসলাম ও সানজিদা খানম উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, এম বদরুদ্দোজা, মো. রুহুল কুদ্দুস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আজ মঙ্গলবার শুনানির শুরুর দিকে রিটকারীদের আইনজীবী কামরুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপিপন্থী আইনজীবী কায়সার কামালের কথা–কাটাকাটি হয়। এরপর হট্টগোল হয়। পরে আদালতের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রুলের শুনানির জন্য দিন ধার্যের আদেশের পর বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বক্তব্য দেন। শুনানিতে কায়সার কামাল বলেন, তারেক রহমানের সর্বশেষ ঠিকানা ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাসা। আর বাংলাদেশের সব মানুষ জানেন, তিনি বর্তমানে অবস্থান করছেন লন্ডনে। কিন্তু এই দুই ঠিকানার কোনোটিতে নোটিশ দেওয়া হয়নি।

তবে হাইকোর্ট বলেন, দেওয়ানি কার্যবিধি অনুযায়ী, তাঁর সর্বশেষ ঠিকানায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শুনানির এ পর্যায়ে কায়সার কামাল বলেন, একটা রাজনৈতিক দলের নেতার কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি পুরোপুরি রাজনৈতিক ব্যাপার। আদালতকে তারা কেন ব্যবহার করবে?

১৩ আগস্ট বিবাদীর (তারেক রহমান) উল্লেখিত ঠিকানার বাড়ির দরজার বাইরে ও আদালতের নোটিশ বোর্ডেও নোটিশ টাঙিয়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। রিট আবেদনকারীর খরচায় ওই নোটিশ জারি করতে বলা হয়েছিল। এ আদেশ বাস্তবায়ন করে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে নোটিশের বিষয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে রিট আবেদনকারীকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী ওই রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পরদিন হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। রিটে তারেক রহমানকে ৯ নম্বর বিবাদী করা হয়।

সম্প্রতি রুল শুনানির উদ্যোগ নেয় রিট আবেদনকারী পক্ষ। এর ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের শুরুতে বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে। বিদেশে থাকায় তারেক রহমানের প্রতি নোটিশ জারি না হয়ে ২ আগস্ট তা ফেরত আসে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। রিটে বিবাদী হিসেবে তারেক রহমানের উল্লেখিত ঠিকানা (বাড়ি নম্বর-৬, রুম নম্বর-৮৬) সঠিক নয় বলে ১০ আগস্ট শুনানিতে ওঠে। আদালত রিট আবেদনকারী পক্ষকে রিটে উল্লেখিত ঠিকানা সংশোধনের জন্য আবেদন দিতে বলেন। সেদিনই হলফনামা আকারে বিবাদী হিসেবে তারেক রহমানের উল্লেখিত ঠিকানা সংশোধন এবং তার প্রতি নোটিশ জারির (রুল) জন্য আবেদন জমা দেন রিট আবেদনকারী।