মিয়ানমার আশ্বস্ত করেছে, ভবিষ্যতে আকাশসীমা লঙ্ঘন করবে না

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অষ্টম সীমান্ত সম্মেলন শেষে বিজিবি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়
ছবি: সংগৃহীত

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রধান মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেছেন, মিয়ানমার আশ্বস্ত করেছে, ভবিষ্যতে আকাশসীমা লঙ্ঘন করবে না। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি ও বিস্ফোরণ বাংলাদেশ সীমান্তে যাতে না আসে, সে ব্যাপারে ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবে বলে দেশটি আশ্বস্ত করেছে।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অষ্টম সীমান্ত সম্মেলন শেষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘আকাশসীমা লঙ্ঘনের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপন করেছি। আমরা তাদের বলেছি, মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় যদি ড্রোন উড্ডয়নের প্রয়োজন হয় বা হেলিকপ্টার ইউটার্ন করার প্রয়োজন হয়, সে তথ্য আমাদের দিতে। যেন আমরা ওই দিনগুলোতে লক্ষ রাখতে পারি যে কোনো ধরনের সীমান্ত অতিক্রমের ঘটনা ঘটছে কি না। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে, এ ধরনের কোনো ঘটনা ভবিষ্যতে ঘটবে না।’

বিজিবির মহাপরিচালক আরও বলেন, স্থলমাইন বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মিয়ানমারের নাগরিকও হতাহত হয়েছেন। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হয়েছে। হতাহতের ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সহযোগিতা চেয়েছেন বলেন বিজিবির মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘আমরা যৌথভাবে এটা পর্যবেক্ষণ করব।’

আরও পড়ুন

সাকিল আহমেদ আরও বলেন, ‘এই দুটি বিষয় সমাধান হলে আমরা যৌথভাবে স্থলভাগে টহল দিতে পারব। আমরা আশা করি, তাতে চোরাচালানি, মানব পাচারের মতো সব অপরাধ আমরা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হব। এ বিষয়ে আমরা মিয়ানমারের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।’

বিজিবিপ্রধান আরও বলেন, দুই দেশের সীমান্তে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে একযোগে অভিযান পরিচালনারও বিষয়ে একমত হয়েছেন তাঁরা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে যে মাদকের কারখানা রয়েছে, তার একটি তালিকা মিয়ানমারকে দেওয়া হয়েছে। দুই দেশের সীমান্তে মাদক পাচার বন্ধে একসঙ্গে কাজ করা ও তথ্য আদান–প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন