জুনের মধ্যে চালু হবে একগুচ্ছ নতুন ট্রেন,কক্সবাজার যাবে আরও ৩ জোড়া

রেল ভবনে শনিবার ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমছবি: সংগৃহীত

আগামী জুনের মধ্যে বেশ কিছু নতুন ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের বুড়িমারীর পথে নতুন আন্তনগর ট্রেন চালু হবে ১২ মার্চ।

আগামী জুনের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার পথে আরও তিন জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালু করা হবে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলবে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন। এই ট্রেনগুলোর কোনটি কবে চালু হবে, সেই তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।

বর্তমানে ঢাকা-কক্সবাজার পথে দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করছে। তবে এসব ট্রেনের টিকিট পাওয়া নিয়ে হাহাকার হচ্ছে। এ ছাড়া শিগগিরই নরসিংদী বা টঙ্গী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙার মধ্যে একটি কমিউটার ট্রেন চালুর পরিকল্পনা আছে রেলের।

শনিবার রেল ভবনে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক কামরুল আহসান। বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে ঢাকায় কর্মরত সড়ক, রেল ও যোগাযোগ অবকাঠামো বিষয় নিয়ে কাজ করা গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড (আরআরআর)।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘আমরা রেলে যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এবারের ঈদযাত্রা এবং টিকিট বিক্রির কার্যক্রম আরও ভালো হবে। কোনো ধরনের টিকিট কালোবাজারি হবে না। একই সঙ্গে রেলকে নিরাপদ বাহন করার জন্য যা যা করার, আমরা করছি।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে, এটা সত্য। তবে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের সবকিছুই খারাপ, এমনটা বলা কিন্তু ঠিক হবে না। রেলে অনিয়ম আছে, ভুল আছে, চ্যালেঞ্জ আছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তারা বসে নেই।’

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম। বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মো. আরিফুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) পার্থ সরকার, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) জালাল উদ্দিন আহম্মেদ, প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম সলিমুল্লাহ বাহারসহ বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।