উদ্বোধন পর্বের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী। তিনি বলেন, ‘সংস্কৃতির শিকড়ের সন্ধান করতে গিয়ে ওয়াহিদুল হক বুঝেছিলেন, আমাদের লোকসংগীতের কাছে ফিরে যেতে হবে।‌ তবে বাণিজ্যিক কারণে লোকসংগীতের ধারাটি বর্তমানে বিকৃত হচ্ছে।’

শুরু থেকে যে কয়জন মানুষ ছায়ানট গড়ে তুলেছেন, ওয়াহিদুল হক তাঁদের মধ্যে অন্যতম বলে উল্লেখ করেন রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী এবং ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা। ওয়াহিদুল হকের মৃত্যুর পর ২০০৭ সাল থেকে তাঁর স্মরণে শিল্পীর জন্মদিনে দেশঘরের গান আয়োজন করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।  
উদ্বোধনের পর শুরু হয় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লোকসংগীত শিল্পী দলের পরিবেশনা।

‘প্রাণের পতি গেছে যে ছাড়ি’ আর ‘খেপু বলে কৃপাসিন্ধু নাম তোমার’ লোকসংগীত পরিবেশন করেন সিরাজগঞ্জ থেকে আসা আবদুল মতিন। এরপর সৈয়দ শাহনূরের ‘বন্ধু তোর লাইগারে’সহ কয়েকটি গান গেয়ে শোনান সুনামগঞ্জের শিল্পী দেবদাস চৌধুরী।

লোকসংগীতের পর শুরু হয় পটগান। এ সময় আয়োজকেরা বলেন, লোকসংগীতের পটগান গাওয়ার প্রচলন গৃহস্থ বাড়ি বাড়ি ঘুরে। পট প্রদর্শনের সময় এ গান গাওয়া হতো। বর্তমানে পটগান টিকিয়ে রাখাই দুরূহ হয়ে উঠেছে।

নিখিল চন্দ্র দাস ও তাঁর দল ‘রূপকথা পটদল’ নিয়ে আসেন পটগান। নড়াইলের এ দল প্রথমে দেশাত্মবোধক এরপর রঙ্গরস, তারপর রূপকথাভিত্তিক পটগান পরিবেশনা করেন।

ভান্ডারি গান গেয়ে শোনান চট্টগ্রাম থেকে আসা শিল্পী সৈয়দ আদিল মাহবুব আকবরী। ‘গাউসুল আজম মাইজভান্ডারি স্কুল খুইলাছে’ গান দিয়ে শুরু হয় তাঁর পরিবেশনা।
জয়পুরহাটের ‘আদিবাসী নৃত্যগীত’ পরিবেশন করে দিলীপ মালো ও তাঁর দল ‘উচাই আদিবাসী মালো সাংস্কৃতিক শিল্পীগোষ্ঠী’। সবশেষে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ওয়াহিদুল হক স্মরণে অনুষ্ঠিত ‘ওয়াহিদুল হক স্মারক দেশঘরের গান’ আয়োজন।