গ্রামীণ টেলিকমের এমডিসহ চারজনকে দুদকে তলব

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল ইসলামসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অন্য তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, তাঁদের আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ। ২৫ আগস্ট দুদকে হাজির হয়ে তাঁদের বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলামসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ ও কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা পাচারসংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এর অংশ হিসেবে চারজনকে ডাকা হয়েছে।

গ্রামীণ টেলিকমের প্রতিষ্ঠাতা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত মে মাসে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমঝোতার মাধ্যমে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা ১১০টি মামলা আদালত থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। সমঝোতার মাধ্যমে ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৭৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মোট পাওনা ৪৩৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়।

গত জুলাই মাসে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক দুদকে অভিযোগ জানান, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ বণ্টনে দুর্নীতি হয়েছে। এতে বলা হয়, শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ লোপাট, শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে আইনজীবী ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কেটে নেওয়া, শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দকৃত সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ করা এবং কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

অভিযোগ পেয়ে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে। ইতিমধ্যে দুদক ১৯৯৭ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পরিচালনা পর্ষদের বিস্তারিত তথ্য, গ্রামীণ টেলিকম পরিচালনার আইন ও বিধিগুলো, গ্রামীণ টেলিকমের লভ্যাংশ বিতরণের নীতিমালাসংক্রান্ত নথিপত্র তলব করেছে।