চট্টগ্রামে স্যালাইনের সংকট নেই দাবি তিন সংস্থার
চট্টগ্রামে কোনো ধরনের স্যালাইনের সংকট নেই বলে দাবি করেছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনের ওষুধ বিক্রির দোকানে তদারকিমূলক অভিযান চালিয়ে এ দাবি করেছেন তিন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
সংস্থার প্রতিনিধিরা দোকানিদের স্যালাইন বিক্রিতে বাড়তি দাম না রাখা, বিক্রির সময় ক্রেতাকে ভাউচার দেওয়া, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রি না করার মতো ‘পুরোনো কথা’ মনে করিয়ে দিয়েছেন।
অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মো. মহিউদ্দিন, ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এস এম সুলতানুল আরেফিন প্রমুখ।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মো. মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, স্যালাইনের সংকট রয়েছে ও বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে—এ দুই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদারকিমূলক অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। সব দোকানে স্যালাইন পাওয়া গেছে। সংকট নেই।
ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক এস এম সুলতানুল আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, দোকানিদের বাড়তি দামে স্যালাইন বিক্রি না করা, ভাউচার দেওয়া, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রি না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অভিযান পরিচালনাকালে দোকানের সামনে মানুষের ভিড় লেগে গিয়েছিল। তখন আরাফাতুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, এভাবে ঘটা করে অভিযান চালালে কোনো বিক্রেতা বাড়তি দাম নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করবেন না। তিন সংস্থার উচিত ছিল আগে কাউকে পাঠিয়ে বাড়তি দাম নিচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা। তারপর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে ওই দোকানে অভিযান চালানো। এখন বাড়তি দামে বিক্রি করা যাবে না, ভাউচার দিতে হবে—এমন পুরোনো সব কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযানে।
আমরা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ৫০০ কার্যাদেশ দিলে তারা দেয় ১০০টি। এভাবে চলছে।
বিক্রেতা, হাসপাতালের চিকিৎসক, রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে স্যালাইনের সংকট চলছে। বেসরকারি হাসপাতালে এ সংকট বেশি।
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগীদের বড় একটি অংশ চিকিৎসা নিচ্ছে আগ্রাবাদ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে। এই হাসপাতালেও পর্যাপ্ত স্যালাইন নেই বলে জানান হাসপাতালটির পরিচালক মো. নুরুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ৫০০ কার্যাদেশ দিলে তারা দেয় ১০০টি। এভাবে চলছে।’ অন্যদিকে ওষুধ দোকানমালিকদের সংগঠন চট্টগ্রাম কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সহসভাপতি আশীষ ভট্টাচার্যও প্রথম আলোকে বলেছেন, কোম্পানিগুলো চাহিদামতো স্যালাইন সরবরাহ করতে পারছে না।