চ্যানেল আইয়ের পাঁচ পরিচালকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার

আদালতপ্রতীকী ছবি

বেতনের টাকা না দেওয়া ও চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে চ্যানেল আইয়ের পাঁচজন পরিচালকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ মামলা করেন চ্যানেল আইয়ের সাবেক উপস্থাপিকা ফারজানা ব্রাউনিয়া মামলাটি করেছিলেন।

মামলায় চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, পরিচালক জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন, মুকিত মজুমদার বাবু, আবদুর রশিদ মজুমদার পারভেজ ও রিয়াজ আহম্মেদ খানকে আসামি করা হয়। আদালত সে সময় মামলাটি তদন্ত করতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছিলেন।

আজ মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুরের তথ্যটি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইমরান হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গত অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মামলার বাদী ফারজানা ব্রাউনিয়া আদালতে জবানবন্দি দেন। তিনি মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। আজ এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। আদালত মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

মামলায় ফারজানা ব্রাউনিয়া দাবি করেছিলেন, তিনি চ্যানেল আইয়ের বিপণন ব্যবস্থাপক (ইভেন্ট) পদে ২০১৪ সালে যোগ দেন। পরে তিনি চ্যানেল আইয়ে ‘স্বর্ণকিশোরী’ নামের একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন। চ্যানেল আইয়ে তাঁর বেতন ছিল ১ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় তিনি ছাত্রদের পক্ষে কথা বলেন। তখন কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়ে তাঁকে চ্যানেল আইয়ে নিষিদ্ধ করা হয়। পরে তিনি আপত্তি জানালে তাঁকে বলা হয়েছিল, লিখিতভাবে বরখাস্ত না করা পর্যন্ত তিনি বেতন পাবেন। কিন্তু কোনো বেতন দেওয়া হয়নি। ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর থেকে গত ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন-ভাতাসহ তাঁর পাওনা দাঁড়িয়েছে ৭১ লাখ টাকা।

মামলায় ফারজানা ব্রাউনিয়া অভিযোগ করেন, পাওনা পরিশোধ না করায় তিনি ২ সেপ্টেম্বর আইনি নোটিশ দেন। কিন্তু নোটিশের জবাব পাননি। বরং ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় তাঁর গাড়ি থামিয়ে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। সন্ত্রাসীরা তাঁর কাছে ৫০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছেন বলেও মামলায় অভিযোগ করেন ফারজানা ব্রাউনিয়া।

তবে মামলা করার পরপরই চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছিল, ফারজানা ব্রাউনিয়াকে পাওনা পরিশোধ না করা এবং তাঁর কাছে ৫০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ হাস্যকর ও মিথ্যায় পরিপূর্ণ। মামলার আবেদনে যেসব অযাচিত ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা খুবই দুঃখজনক।

আরও পড়ুন