সীতাকুণ্ডে এখনো বিক্রি হয়নি ২৫ মণ ওজনের কালাবাবু
শেষ পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া বাজারে বিক্রি হয়নি ২৫ মণ ওজনের কালাবাবু। গতকাল সোমবার কোরবানির ঈদের আগে বাঁশবাড়িয়ায় ছিল শেষ গরুর হাট। হাটে কালাবাবু ছিল সবচেয়ে বড় গরু। গরুর মালিক সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী রাশেদুল করিম কালাবাবুর দাম চেয়েছিলেন ১২ লাখ টাকা।
রাশেদুল করিম আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, হাতে গোনা কয়েকজন ক্রেতা গরুটির দরদাম করেছিলেন। একজন মাত্র সাড়ে সাত লাখ টাকা বলেছিলেন। ৯ থেকে ১০ লাখের মধ্যে হলে বিবেচনা করতেন তিনি। তবে অনেকে ফোন নম্বর নিয়ে গেছেন। আজ দুপুরের মধ্যে যদি তাঁরা যোগাযোগ না করেন, তাহলে কালাবাবুকে চট্টগ্রাম নগরের সাগরিকা গরুর বাজারে নিয়ে যাওয়া হবে।
গতকাল হাটে গিয়ে দেখা গেছে, কেউ কেউ কালাবাবুর কাছে গিয়ে ছবি তুলছেন, অনেকে ভিডিও করছেন। আবার অনেকে দাঁড়িয়ে দেখছেন। এত বড় গরুর ক্রেতা ছিল হাতে গোনা কয়েকজন। তাই গরুটি ঘিরে ক্রেতাদের উৎসাহ ছিল বেশি।
রাশেদুল করিম বলেন, তিনি পেশাদার গরু ব্যবসায়ী নন। সাড়ে তিন বছর আগে শখের বশে ছয় দিনের বাচ্চাসহ একটি গাভি কিনেছিলেন তিনি। তাকেই লালন-পালন করে আজকের এই কালাবাবু। প্রচুর শ্রম দিয়েছেন তিনি। এ গরুটি বড় করতে গিয়ে ছোটখাটো একটি খামারও করেছেন। বাকি গরুগুলো দেশীয় প্রজাতির হওয়ায় এত বড় হয়নি।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার সীতাকুণ্ডে মানুষের দৃষ্টি মাঝারি ও ছোট আকারের গরুর দিকে। ছোট গরুর প্রায় ৯০ শতাংশ দেশি গরু। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গরুর দাম বেশি চাইছেন বিক্রেতারা।
সীতাকুণ্ড পৌর সদরের শেখ নগর থেকে আসা শেখ সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা এবার ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে গরু কেনার চিন্তা করেছেন। গত বছর যে গরু কিনেছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকায়, এবার সেটার দাম হাঁকছেন ২ লাখের ওপরে। শেষ পর্যন্ত পছন্দের গরু কিনতে পারেননি তিনি।