শেরপুরের নকলার তিন যুদ্ধাপরাধীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালফাইল ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ সোমবার এ রায় দেন। অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

মহান মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে এ নিয়ে এক যুগের বেশি সময়ে ৫৫টি মামলার রায় এল। এসব মামলায় দণ্ডিত আসামি ১৫২ জন।

এর আগে শুনানি শেষে গত ২৪ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। গতকাল রোববার আজ রায়ের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। দণ্ডিত তিন আসামি হলেন, এস এম আমিনুজ্জামান ফারুক, মো. মোখলেসুর রহমান ওরফে তারা এবং এ কে এম আকরাম হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষের তথ্যমতে, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিন আসামি স্থানীয় নকলা আলবদর বাহিনীর নেতা ও সদস্য ছিলেন।

রায় ঘোষণার দিন থাকায় কারাগারে থাকা তিন আসামিকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাঁদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ মামলায় ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

পরে প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শেরপুরের নকলা থানা এলাকায় অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও নিরস্ত্র বাঙালিদের দিয়ে জোর করে রাজাকার ও পাকিস্তান বাহিনীর ক্যাম্পে বাংকার তৈরি করানোর মতো চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে তিনটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অবশ্য নিরস্ত্র বাঙালিদের দিয়ে জোর করে রাজাকার ও পাকিস্তান বাহিনীর ক্যাম্পে বাংকার তৈরির কাজ করানোর মতো অভিযোগ থেকে তাঁদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান প্রথম আলোকে বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করবেন।