জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পদক্ষেপ কেন নয়: হাইকোর্ট

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

বিদেশি পণ্য বর্জন ও স্বদেশি পণ্য ব্যবহার করার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের সলঙ্গা হাটে ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি গণহত্যা সংঘটিত হয়। এই দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রোববার রুলসহ আদেশ দেন।

১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি যুবনেতা মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের নেতৃত্বে সলঙ্গা এলাকায় আন্দোলনরত জনতার ওপর ব্রিটিশ পুলিশ নির্বিচার গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় কয়েক শ মানুষ মারা যান।

২৭ জানুয়ারি জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতির জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে মো. আসাদ উদ্দিন, মো. কাওসার আলী ও মো. বদরুদ্দোজা বাবুসহ সুপ্রিম কোর্টের ১১ জন আইনজীবী গত মাসে রিটটি করেন। রিট আবেদনকারীরা সবাই সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা।

আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন নিজেই শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী বদরুদ্দোজা বাবু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

পরে আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি সংঘটিত সলঙ্গা বিদ্রোহের এক শ বছর পার হয়েছে। এত দিনেও ২৭ জানুয়ারিকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। এমনকি সংশ্লিষ্ট স্থানে স্মৃতিস্তম্ভও নির্মাণ করা হয়নি—যে কারণে রিটটি করা হয়। হাইকোর্ট রুল দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’