ছয় দিনেও ঠিক হয়নি বিমানের ই-মেইল সেবা

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস

ছয় দিনেও ঠিক হয়নি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ই-মেইল সার্ভার। গত শুক্রবার সার্ভারটি ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয়। এরপর সংস্থাটি নিজ উদ্যোগেই ই-মেইল সার্ভিস বন্ধ করে রেখেছে বলে দাবি করেছে। পাশাপাশি ই-মেইল সেবা পুরোদমে চালুর কাজ করা হচ্ছে।

তবে এখন পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস নিশ্চিত হতে পারেনি কারা এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত। ই-মেইল সেবাটির মাধ্যমে বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের মধ্যে ও দাপ্তরিক কাজে দেশ ও দেশের বাইরে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

সেবাটি বন্ধ থাকায় এ ধরনের যোগাযোগ বন্ধ আছে। অভ্যন্তরীণ কেনাকাটা, শিডিউল, বিলিংসহ অন্যান্য বিষয়ে ই-মেইলের মাধ্যমেই যোগাযোগ করেন কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ই-নথির কাজটিও করা হয় এই সার্ভারের মাধ্যমে। ফলে এই সার্ভারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর তথ্য আছে।

এসব তথ্য ফাঁস করার হুমকি দিয়ে ম্যালওয়্যার দিয়ে আক্রমণ করা পক্ষটি সার্ভার সচল করে দেওয়ার কথা বলে কয়েক হাজার ডলার দাবি করছে বলে বিমানের একটি সূত্র বলছে। এই সূত্রের দাবি, হ্যাকাররা বিমানের কাছে একটি লিংক পাঠিয়েছে। ওই লিংকে ক্লিক করলে বিষয়টির সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ দাবি করেছে।

এ ঘটনা তদন্তে ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে গতকাল বুধবার জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ই-মেইল সার্ভার হ্যাকের ঘটনাটি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত তথ্য দেননি।

এদিকে বিমানের সার্ভার হ্যাক হওয়া নিয়ে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকরণ তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। আজ বৃহস্পতিবার সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ তাহেরা খন্দকার জানিয়েছেন, গত শনিবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এর কিছুসংখ্যক কম্পিউটার ও সার্ভার ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয়।

সঙ্গে সঙ্গে ওই দিন সন্দেহযুক্ত সার্ভারটিকে আইসোলেটেড করে রাখা হয় এবং ই-মেইল সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিকল্প ব্যবস্থায় বিমানের অপারেশনাল কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ই-মেইল আইডিগুলো মাইক্রোসফট ক্লাউড সার্ভিসের মাধ্যমে চালু আছে বলে তিনি দাবি করেছেন।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮, ধারা-১৫ অনুসারে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর অধীন তফসিলভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি কাজ করছে।