রাজধানীতে গতকাল শনিবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে সাতটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে ২৪টি গাড়ি। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। সংগঠনের সভাপতি মসিউর রহমান ও মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান যৌথভাবে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘২০১৪–১৫ সালে বিএনপি–জামায়াত আন্দোলনের নামে সারা দেশে অসংখ্য গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ সময় হত্যা করা হয়েছে অনেক শ্রমিককে। অতীতের মতো অবারও আন্দোলন কর্মসূচির নামে সহিসংতা শুরু করেছে তারা।’
পরিবহন নেতারা এ ধরনের ধ্বংসাত্মক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির ক্ষতিপূরণ আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে আদায়েরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গতকাল শনিবার ঢাকর প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এ সময় কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে মাতুয়াইল ও শ্যামলীসহ ঢাকার কয়েকটি জায়গায় গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়।
গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের জন্য ক্ষমতাসীন দলকে দায়ী করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, মাতুয়াইল ও শ্যামলীতে গাড়িতে আগুন দেওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করার অপচেষ্টা চলছে। অথচ পুলিশের সামনেই এসব ঘটনা ঘটিয়ে ভিডিও করে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে চলে গেছে। কারা এটা করতে পারে, তা অনুমানের জন্য বেশি বুদ্ধিমান হওয়ার প্রয়োজন নেই।