জন্মান্ধ বাউলশিল্পী মোহন সরকারের বাঁশির সুর যেন সবার হৃদয়কে নাড়া দিয়ে গেছে। সবার উচ্ছ্বসিত দাবির মুখে শিশুদের অধিকার নিয়ে নিজের লেখা গানও শোনান তিনি।
এটি গতকাল বুধবার গাজীপুরে অনুষ্ঠিত শিখো-প্রথম আলো জিপিএ-৫ কৃতী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য। এদিন জামালপুরেও ২০২২ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
গাজীপুরে ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর গাজীপুর প্রতিনিধি মাসুদ রানা।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, ‘মানুষ তৈরির জায়গায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। তোমরা স্মার্ট বাংলাদেশের ঝান্ডা এগিয়ে নেবে।’
ভাষাশহীদ কলেজের অধ্যক্ষ মুকুল কুমার মল্লিক বলেন, ‘যে যত বেশি তথ্য জানে, সে তত বেশি সমৃদ্ধ।’ ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের অধ্যাপক অসীম বিভাকর বলেন, দায়িত্বশীলতাই অন্য প্রাণী থেকে মানুষকে আলাদা করে।
প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সুমনা শারমীন বলেন, ‘আমরা মুখস্থ, মিথ্যা ও মাদককে কখনোই প্রশ্রয় দেব না। সব সময় ভালোর সঙ্গে থাকব, আলোর পথে চলব।’
শিখোর সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা জিসান জাকারিয়া বলেন, ‘চর্চা ও চেষ্টার কোনো বিকল্প নেই।’
কৃতী শিক্ষার্থী সুখপ্রীতা হেরা ও জান্নাতুন ফেরদৌসি এই অনুষ্ঠানে এসে নিজেদের ভালো লাগার কথা জানাল।
প্রযুক্তি ভালো জানতে হবে
জামালপুরের অনুষ্ঠান হয় সেখানকার লুইস ভিলেজ রিসোর্ট অ্যান্ড পার্কে। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর জামালপুর প্রতিনিধি আবদুল আজিজ।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী বলেন, ‘আমরা মানবিক জীবন যাপন করতে এসেছি। তাই জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হবে।’
প্রথম আলোর উপসম্পাদক লাজ্জাত এনাব মহছি বলেন, ‘যে পেশায় যাই না কেন, প্রযুক্তিটা ভালো করে জানতে হবে। ভালো মানুষ হতে হবে।’
আরও বক্তব্য দেন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের শিক্ষক হারুন অর রশিদ, মো. আবদুল হাই আলহাদী, মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম এবং সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজের শিক্ষক মো. মোজাহিদুর রহমান ও জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিশাম আল মহান্নাভ।
দুটি অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল সাংস্কৃতিক আয়োজন। গাজীপুরে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ব্লাড গ্রুপিংয়ের ব্যবস্থা করে এলিট কেয়ার হাসপাতাল।
কৃতী শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল ক্রেস্ট, সনদ, সকালের নাশতা, প্রথম আলো ই-পেপার (এক মাস) ও চরকির (১৫ দিন) ফ্রি সাবস্ক্রিপশন এবং শিখোর সৌজন্যে বিনা মূল্যে কোর্স। প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’র পৃষ্ঠপোষকতায় ৬৪ জেলায় এ সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। এতে সহযোগিতা করছে ফ্রেশ, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।