অপরিণত অবস্থায় জন্মানোর কারণে দেশে নবজাতক মৃত্যুর হার বেশি

বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস-২০২৩ ও বিশ্ব প্রিম্যাচুরিটি দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বুধবার সেভ দ্য চিলড্রেনের সহায়তায় এক সেমিনারের আয়োজন করে ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল।
ছবি: সংগৃহীত

প্রিম্যাচুরিটি বা অপরিণত অবস্থায় জন্মানোর কারণে বাংলাদেশে নবজাতক মৃত্যুর হার বেশি। দেশে অধিকাংশ নবজাতকের মৃত্যুর হয় প্রিম্যাচুরিটি ও কম ওজনের কারণে। আর পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর হার বেশি।

 বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মিরপুরে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস-২০২৩ ও বিশ্ব প্রিম্যাচুরিটি দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের সহায়তায় এ সেমিনারের আয়োজন করে ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল।

 সেমিনারে এম আর খান হাসপাতাল এবং ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের পরিচালক (অ্যাকাডেমিক) নব কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, প্রিম্যাচুরিটির কারণে বাংলাদেশে নবজাতক মৃত্যুর হার বেশি। এই হার কমানোর জন্য ঠিক সময়ে চিকিৎসা ও মায়েদের সচেতনতা দরকার।

নব কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস এবং বিশ্ব প্রিম্যাচুরিটি দিবস আমরা একসঙ্গে পালন করছি, যাতে সচেতনতা বাড়িয়ে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে পারি। আমাদের দেশে অধিকাংশ নবজাতক মৃত্যুর হার প্রিম্যাচুরিটি ও কম ওজনের কারণে। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর হার বেশি।’

 এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেমিনারে নিউমোনিয়া নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসপাতালটির পেডিয়াট্রিক পালমোনলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাকিবুর রহমান। প্রিম্যাচুরিটি নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসপাতালের নিওনেটাল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন আফরোজ।

সেমিনারের প্রধান অতিথি ও নবজাতক স্বাস্থ্যবিষয়ক জাতীয় কারিগরি ওয়ার্কিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ‘নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলেও অনেক অভিভাবক শিশুদের হাসপাতালে আনতে চায় না। গুরুতর হলেই কেবল আনা হয়। এতে বাড়ে মৃত্যুঝুঁকি। এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে সরকারকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।’

 এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক শেখ দাউদ আদনান বলেন, নিউমোনিয়ার প্রকোপ কমাতে হলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, নিউমোনিয়া বর্তমানে শিশু স্বাস্থ্যে বড় বোঝা।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নিউমোনিয়া সম্পূর্ণ প্রতিরোধযোগ্য হলেও এখনো আমরা সেটি পুরোপুরি প্রতিরোধ করতে পারিনি। আশপাশের ময়লা আবর্জনা, ধুলাতে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।’

সেমিনারে সমাপনী বক্তব্য দেন এম আর খান শিশু হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহ্-আল মামুন।