দেশের সব আদালত প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ হচ্ছে: বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম
আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেছেন, দেশের প্রতিটি আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জ হচ্ছে। আগামী দু–তিন মাসের মধ্যে সব জায়গায় ন্যায়কুঞ্জ হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। আজ শনিবার সকালে দিনাজপুর আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম এ কথা বলেন।
এর আগে গত বছরের আগস্টে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামে নির্মিত বিশ্রামাগারের উদ্বোধন করেন। এই বিশ্রামাগারে বিচারপ্রার্থীদের জন্য অর্ধশতাধিক আসন রয়েছে। বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং শেডের পাশের ভবনে শৌচাগারের ব্যবস্থাও রয়েছে।
আজ দিনাজপুর আদালত প্রাঙ্গণে ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি বিচারপ্রার্থীদের জন্য প্রয়োজন অনুভব করে বিষয়টি (বিশ্রামাগার) প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলার পরপরই তিনি প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একনেকের বৈঠকে ন্যায়কুঞ্জের অনুমোদন দিয়েছেন। সারা দেশে প্রতিটি আদালত অঙ্গনেই ন্যায়কুঞ্জ হচ্ছে।’
বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘একসময় আদালত অঙ্গনগুলোতে বটগাছ ও বড় বড় গাছ ছিল। সেখানে বিচারপ্রার্থী মানুষেরা বিশ্রাম নিতেন। এখন সেই গাছ ও বটগাছও নেই। সেখানে ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন করা হচ্ছে। আশা করছি, আগামী দু–তিন মাসের মধ্যে সব জায়গায় এই ন্যায়কুঞ্জ তৈরি হয়ে যাবে।’
জানতে চাইলে আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দেশের ৬৪ জেলায় ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনের জন্য ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যার কার্যক্রম চলছে। ‘ক’ শ্রেণির ন্যায়কুঞ্জের আয়তন হবে এক হাজার বর্গফুট। আর ‘খ’ শ্রেণির ন্যায়কুঞ্জের আয়তন হবে ৮০০ বর্গফুট। এই বিশ্রামাগারে বিচারপ্রার্থীদের বসার জন্য আসন, নারী–পুরুষ শৌচাগার, সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও একটি করে দোকান থাকবে।