নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, সহ-উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ফাইল ছবি

বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রারকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এই চারজনের প্রবেশ নিষেধ করে একটি ব্যানার টানানো হয়।

গতকাল রোববার দুপুরে সরেজমিনে ফটকে ব্যানারটি ঝুলতে দেখা যায়। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ট্রেজারার নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর পদত্যাগ করলেও উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার পদত্যাগ করেননি। সূত্র জানায়, এই চার কর্মকর্তা গত ৫ জানুয়ারির আগে থেকে ক্যাম্পাসে যান না। তাঁরা অনলাইনে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজকর্ম সারছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপাচার্য মো. দিদার-উল-আলম প্রথম আলোকে বলেন, কর্তৃপক্ষ না বলার আগে তিনি পদত্যাগের কোনো কারণ দেখছেন না। কারণ, তাঁর পদটি একটি সাংবিধানিক পদ। সবাই পদত্যাগ করে চলে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় চলবে কী করে? যাঁরা তাঁদের জায়গায় আসতে চাইছেন, তাঁরা কেউ আসতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে হয়, তা তিনি জানেন।

এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য মো. দিদার-উল-আলম বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন, ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে গন্ডগোল হয়েছে। নোয়াখালীতে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। তাই পদত্যাগ করার জন্য সরকার থেকেও এখন কিছু বলেনি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ না করে নীরবতা পালন করে। এ ছাড়া উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নানা অব্যবস্থাপনা ও অদক্ষতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তাই তাঁদের পদত্যাগ করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা নির্ধারিত ৪৮ ঘণ্টা সময় পার হলেও পদত্যাগ করেননি। তাই শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেজারারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর; যদিও পদত্যাগ পত্রে তিনি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করছেন বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার এখন পদত্যাগ করেননি।