রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘাত প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ব্যর্থতায়: গণতন্ত্র মঞ্চ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের জন্য স্থানীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের ব্যর্থতা ও অবহেলাকে দায়ী করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। গণতন্ত্র মঞ্চের অভিযোগ, প্রশাসন আর জনপ্রতিনিধিদের ব্যর্থতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ দুই শতাধিক আহত হয়েছেন।

শনিবার গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় এ অভিযোগ তোলা হয়। রাজধানীর রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে এই সভা করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
ওই সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষে অগ্নিসংযোগ এবং দুই শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনায় গণতন্ত্র মঞ্চ উদ্বেগ জানায়। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে পুরো একটা এলাকার দোকানপাট। ব্যাহত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। এই সরকারের হাতে দেশের জনগণ নিরাপদ নয়, অর্থনীতি নিরাপদ নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিরাপদ নয় এবং মানুষের জানমাল নিরাপদ নয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহম্মদ রাশেদ খান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

সভা থেকে ১৮ মার্চ বেলা ১১টায় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, তিস্তার পানি প্রত্যাহার বন্ধে সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদ এবং গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।