যানবাহন মেরামতের ওয়ার্কশপের নিবন্ধন করতে হবে: বিআরটিএ চেয়ারম্যান

গাড়ি মেরামতের একটি কারখানায় এলপিজি রূপান্তরের কাজ করছেন কর্মীরা। রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায়ফাইল ছবি

এখন থেকে যানবাহন মেরামতের কারখানার (ওয়ার্কশপ) জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছ থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। সড়ক পরিবহন আইনে বিষয়টি থাকায় তা কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ে ‘রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড’-এর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান বিআরটিএর চেয়ারম্যান।

নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, যানবাহন মেরামত কারখানাগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর জন্য বিভাগীয় কমিটির গঠন করে দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় কমিটি তালিকা করবে কোথায় কোথায় যানবাহন মেরামত কারখানা আছে। তারপর এসব কারখানাকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়ে গেছে।

অচল গাড়ি সচল, নকশা পরিবর্তন, মোটরগাড়ির যেকোনো সমস্যার সমাধানে যন্ত্রাংশের সংযোজনসহ নানা কাজ করা হয় ওয়ার্কশপে। বড় কারখানা বা ওয়ার্কশপে বাস-ট্রাকের বডি তৈরি হয়। গাড়ি রিমডেলিং এবং ইঞ্জিনের নানা পরিবর্তনও করা হয়। বিআরটিএ বলছে, ওয়ার্কশপগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনলে যন্ত্রাংশের গুণগত মান রক্ষা করা সম্ভব হবে।

যানবাহনের গতিসংক্রান্ত নীতিমালার বিষয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, সড়কের পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই গতিনিয়ন্ত্রণে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। এতে দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানি কমবে।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার জানান, চলতি বছরের মে পর্যন্ত সারা দেশে নিবন্ধিত মোটরযানের সংখ্যা ৬০ লাখ ৭০ হাজার ৫৪১টি। এর মধ্যে বাস ৫৫ হাজার ১৫টি। আর মোটরসাইকেল ৪৪ লাখ ১৭ হাজার ৩৮৮টি।

যত্রতত্র দূরপাল্লার বাসের কাউন্টার বন্ধে উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, টার্মিনাল এলাকায় কোনো পরিবহনের একাধিক কাউন্টার থাকতে পারবে না। একাধিক বাস কাউন্টার থাকলে যানজট হয়, ভোগান্তি বাড়ে।

মতবিনিময় সভায় বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. তাওহীদুল ইসলামসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিতি ছিলেন।