চা, কবিতা, গান আর গল্পে বর্ষাকে ছুঁয়ে দেখার আয়োজন

বর্ষা উদ্‌যাপন করার বিশেষ আয়োজন ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বর্ষাযাপন ১৪৩২’।

বর্ষা মানেই আকাশ ভেজা দিন, কদম ফুলের গন্ধ, বৃষ্টির টুপটাপ শব্দ আর অবসরে হাতে এক কাপ চা। এই ঋতুর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে নস্টালজিয়া আর অনুভবের গল্প। বাঙালির জীবনে বর্ষা কেবল একটি ঋতুই নয়, বর্ষা একটি আবেগের নাম। সেই আবেগকেই উদ্‌যাপন করতে ইস্পাহানি মির্জাপুর ও প্রথম আলো ডটকম যৌথভাবে করেছে বিশেষ আয়োজন: ইস্পাহানি মির্জাপুর বর্ষাযাপন ১৪৩২।

বর্ষা আর চায়ের মধ্যের যে সম্পর্ক, সেটিকে কেন্দ্র করে এ আয়োজন সাজানো হয়েছে। বর্ষার দিনে ঘোরাঘুরি, বাঙালির ঐতিহ্যবাহী বর্ষার খাবার, সাহিত্য-সিনেমায় বর্ষা এবং চায়ের কাপে জমে ওঠা আড্ডার গল্প ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষ ফিচার প্রকাশিত হবে প্রথম আলো ডটকমে। এ ছাড়া বর্ষায় গ্রাম ও শহরের জীবনের ভিন্ন অভিজ্ঞতা ও রূপবৈচিত্র্য নিয়ে নির্মিত দুটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রকাশিত হবে।

বর্ষা এলেই জীর্ণ-ক্লান্ত প্রাণ যেন হয়ে ওঠে সজীব-সতেজ। কবিরা এ সময়ে আরও বেশি কাব্যিক হয়ে ওঠেন, গায়কের কণ্ঠ যেন পায় এক নতুন সুরের ছোঁয়া। সেই বর্ষার সুর, শব্দ আর অনুভব নিয়ে নির্মিত হয়েছে তিন পর্বের অনুষ্ঠান ‘গান-কবিতায় বর্ষাযাপন’। প্রতিটি পর্বে গান, কবিতা আর কথোপকথনের মধ্য দিয়ে বর্ষার সৌন্দর্য আর শিল্প-সংবেদনাকে তুলে ধরা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বর্ষার গান শুনিয়েছেন সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার‍, সন্ধি ও মাশা ইসলামের কণ্ঠে। আবৃত্তি ও উপস্থাপনায় রয়েছেন আনিসুল হক, সাকিলা মতিন মৃদুলা ও মাহিদুল ইসলাম।

বাপ্পা মজুমদার শুনিয়েছেন তাঁর জনপ্রিয় গান ‘বৃষ্টি পড়ে’, ‘আজ বৃষ্টিমুখর দিন’, ‘অনেক বৃষ্টির পরে’ এবং ‘বন্ধু তুমি ফিরে এসো’। কণ্ঠশিল্পী সন্ধি পরিবেশন করেছেন তাঁর গান ‘বৃষ্টির স্কুল’; পাশাপাশি গেয়েছেন রবীন্দ্রসংগীত ‘পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে’, শেখ ইশতিয়াকের ‘টিপ টিপ বৃষ্টি’ এবং অর্থহীন ব্যান্ডের ‘এপিটাফ’। মাশা ইসলাম শুনিয়েছেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের ‘এই মেঘলা দিনে একলা’, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের ‘আকাশ এত মেঘলা যেয়ো নাকো একলা’ এবং রুনা লায়লার ‘অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে’। নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে’ গানটিতে মাশার সঙ্গে আবৃত্তির যুগলবন্দী করেছেন মাহিদুল ইসলাম।

ধারণ করা পর্বগুলো প্রচারিত হবে প্রথম আলো ডটকম ও প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে।