খিলগাঁও থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় সালমান, দস্তগীর, মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো
রাজধানীর খিলগাঁও থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
সালমান এফ রহমান ছাড়া গ্রেপ্তার দেখানো অন্য দুজন হলেন সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন।
প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) আশ্রাব হোসেন।
পুলিশ ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কারাগার থেকে সালমান এফ রহমান, গোলাম দস্তগীর গাজী ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাঁদের খিলগাঁও থানায় দায়ের করা সোহেল নামের এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। আদালত পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেন। সালমান এফ রহমানসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার নথিপত্রের তথ্য বলছে, গত ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও আবাসিক এলাকার পল্লীমা স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে অংশ নেন বাসচালকের সহকারী সোহেল। এ সময় পুলিশের ছোড়া গুলি লাগে তাঁর শরীরে। পরে তিনি মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় সোহেল বাদী হয়ে গত ৫ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের নামে মামলা করেন। মামলায় সালমান এফ রহমান, গোলাম দস্তগীর গাজী ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে আসামি করা হয়।
গত ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান। পৃথক সাতটি মামলায় তাঁর ইতিমধ্যে ৪৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন গত ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন। পৃথক ১০টি মামলায় ইতিমধ্যে তাঁর ৫৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গত ২৫ আগস্ট গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রূপগঞ্জ থানার একটি হত্যা মামলায় তাঁর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন নারায়ণগঞ্জের আদালত।