স্বাধীনতার পরের পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব নেই বললেই চলে। রাজনৈতিক দলে ও সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির জন্য প্রাথমিকভাবে নারী প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসনপদ্ধতি চালু করা হয়েছিল, কিন্তু সে পদ্ধতির ফলে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ঘটেনি।
তাহলে প্রশ্ন জাগে, যে ব্যবস্থা প্রকৃত ক্ষমতায়ন ঘটায় না, দশকের পর দশক সেটা টেনে নেওয়ার যৌক্তিকতা কী? ধারণা করি, সংসদে আসন-জেতা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য একধরনের পুরস্কার আর নারীর জন্য আলংকারিক উপস্থিতি নানাভাবে সুবিধাজনক বলেই এই ব্যবস্থা লজ্জাজনক হলেও টিকে গেছে। তবে জুলাই গণ–অভ্যুত্থান যেহেতু নানা পরিবর্তনের অভূতপূর্ব সুযোগ নিয়ে এসেছিল বলে মনে হয়েছিল, তাই গত এক বছর নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণের প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে।
যুগ যুগ ধরে নারীরা যে অত্যাচার–অবহেলা সয়ে এসেছে খেলার পুতুল হয়ে, তাকে দূর করতে কেবল দুই পৃষ্ঠা কাগজে লিখেই নয়—এর প্রতিকার হবে বিদ্রোহে।
সওগাত সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনকে সুফিয়া কামালের চিঠি, ২৩ জুলাই ১৯২৯ [জানানা মহফিল, ১৯৯৮]
বাংলাদেশে নারীর জন্য বিদ্রোহের উত্তপ্ত প্রান্তরের একটা হলো রাজপথের লড়াই। যে লড়াইয়ের পথরেখা পিতৃতান্ত্রিকতার আঘাতে রক্তে ভেজা। প্রীতিলতা, বেগম রোকেয়া, শামসুন্নাহার, লীলা নাগ, নুরুন্নাহার খাতুন, সুফিয়া কামালসহ আরও অনেক নারীর রক্তে রঞ্জিত সেই লহুরেখা। তাঁদের রেখে যাওয়া পথে একুশ শতকের অন্যতম বড় রাজনৈতিক ঘটনায় নারীর নেতৃত্বপূর্ণ লড়াইয়ে জয়ের পর আমাদের সমতার আকাঙ্ক্ষার স্ফুরণ কতটা ঘটল? নাকি নারীর জান ও জবানের অধিকার চরায় আটকে গেল? এসব নিয়ে আলাপ অত্যন্ত জরুরি।
কয়েক সপ্তাহ ধরে সংবাদমাধ্যমে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশ লক্ষণীয় ছিল, কিন্তু সেদিনের ছবিতে দেখা যায় তাঁরা বসে আছেন নিচের সিঁড়িতে, প্রায় অদৃশ্য। অর্থাৎ ৫ আগস্ট থেকেই নারীদের প্রান্তিক করে ফেলা হয়েছিল।
নারীরা অদৃশ্য হয়ে গেলেন কেন
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আমরা নারীদের অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখেছি। কেবল প্রতীকী অংশগ্রহণকারী বা সংখ্যাসূচক ব্যক্তিত্ব হিসেবে নয়, বরং সক্রিয় এজেন্ট ও নেতা হিসেবেও। নারীরা সাহসের সঙ্গে সামনের সারিতে দাঁড়িয়েছিলেন। গণ–অভ্যুত্থানের প্রাথমিক পর্যায়ে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল কৌশলগত; হত্যাকাণ্ডের পরে নারীরা প্রকৃত নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তাঁরা সংগঠিত হয়েছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, রাস্তায় দৃশ্যমান ছিলেন এবং অসাধারণ সাহস দেখিয়েছিলেন। তাঁরা মা, গৃহিণী, ছাত্রী বা পেশাজীবী যা–ই হোন না কেন, প্রতিবাদকারী ছাত্রীদের রক্ষা করার জন্য সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন এবং মাঠে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
এই কারণে দৃঢ় প্রত্যাশা ছিল যে জুলাই-পরবর্তী রাজনৈতিক সংস্কারের আলোচনায় ও নীতি নির্ধারণে নারীদের দৃশ্যমান ও কেন্দ্রীয় ভূমিকা থাকবে। দুর্ভাগ্যবশত, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় উপদেষ্টা পরিষদে নারীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। তিনজন ছাত্র উপদেষ্টার মধ্যে কেউই নারী ছিলেন না। অনেকেই এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে নারীদের ইচ্ছাকৃতভাবে প্রান্তিক করা হচ্ছে। চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানে জয়ী নেতারা রাজু ভাস্কর্যে দাঁড়িয়ে যখন পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করছিলেন, সে সময়ের ছবিতে দেখা যায়, মঞ্চে একজন ছাড়া প্রায় সবাই পুরুষ। কয়েক সপ্তাহ ধরে সংবাদমাধ্যমে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশ লক্ষণীয় ছিল, কিন্তু সেদিনের ছবিতে দেখা যায় তাঁরা বসে আছেন নিচের সিঁড়িতে, প্রায় অদৃশ্য। অর্থাৎ ৫ আগস্ট থেকেই নারীদের প্রান্তিক করে ফেলা হয়েছিল।
পরবর্তী সময়ে আমরা নারীদের চলাচল সীমিত করার অপচেষ্টা, পথে–ঘাটে শারীরিক হেনস্তা ও সাইবারস্পেসে ব্যাপক হয়রানি দেখেছি। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা, সেমিনার ইত্যাদিতে দেখেছি প্রায় সব বক্তাই পুরুষ। ফলে এমন ধারণা সৃষ্টি হয়েছিল যে নারীদের ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এমন প্রশ্ন জোরেশোরে উচ্চারিত হয়েছে: নারীরা কোথায় গেলেন? গণ–অভ্যুত্থানে যে নারীরা সামনের সারিতে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁরা অদৃশ্য হয়ে গেলেন কেন?
এই অন্তর্ধানের পেছনে সামাজিক ও রাজনৈতিক উভয় কারণই রয়েছে। বাংলাদেশে রাজনীতি কখনোই নারীদের জন্য নিরাপদ বা স্বস্তিকর ছিল না। অর্থ ও পেশিশক্তিনির্ভর আমাদের রাজনীতি পুরুষালি দাপট আর ‘ব্যাটাগিরি’ দেখানোর জায়গা, যেখানে নারীদের প্রায়ই সুবিধাবঞ্চিত মনে করা হয়। এই ধারণার কিছু ভিত্তি রয়েছে: নারীদের এখনো সম্পত্তি ও সম্পদের সমান অধিকার নেই। এমনকি ধর্মীয় অনুশাসন নারীদের যে অধিকার দেয়, তা–ও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয় না। উপার্জনশীল নারীদের উপার্জিত অর্থ কীভাবে ব্যয় করা হবে, সেই নিয়ন্ত্রণও প্রায়ই তাঁদের নিজেদের হাতে থাকে না। সন্তানের শিক্ষা, বিয়ে ও অন্য বড় পারিবারিক সিদ্ধান্তগুলো পুরুষেরাই নেন।
সমাজে নারীর অবস্থা যখন এই, তখন তাঁদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা অত্যন্ত কঠিন। রাজনীতি প্রায়ই সংঘাতপূর্ণ হয়; সহিংস পরিস্থিতিতে নারীদের নিরুৎসাহিত করা হয়। সংঘাত নিরসনে তাঁদের ভূমিকা রাখার প্রস্তুতি ও দক্ষতা থাকলেও তাঁরা তা করতে পারেন না, কারণ তাঁদেরকে মনে করা হয় দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক।
একটি অনন্য সুযোগ সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো হারিয়েছে। ঐকমত্য গঠনের প্রক্রিয়াটি নারী, শ্রমিক, কৃষিজীবী, আদিবাসী, লিঙ্গবৈচিত্র্যপূর্ণ সম্প্রদায় এবং অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীকে নিয়ে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে পারত। জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হওয়ায় আমরা সেই সুযোগ হারিয়েছি।
পরিবার, রাষ্ট্র, এমনকি সহকর্মীরাও প্রায়ই রাজনৈতিক আলোচনার টেবিলে নারীদের স্থান দেওয়ার বিরোধিতা করেন। ঐকমত্য কমিশনের সভাগুলোতে নারীদের অনুপস্থিতি প্রমাণ করে যে আমাদের রাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নারী সহকর্মীদের নিয়ে আসেনি। তাঁরা এর পেছনে যে অজুহাতই দাঁড় করান না কেন, বাংলাদেশের নারীরা এ বৈষম্য মনে রাখবেন এবং এর জবাব ভোটের মাঠে নিশ্চয়ই চুকিয়ে দেবেন।
যে নারীরা একই সঙ্গে ঘরে ও অফিসে কাজ করেন, তাঁরা ইতিমধ্যে দ্বিগুণ বোঝা বহন করেন। তার ওপর যখন কেউ অ্যাকটিভিজম ও রাজনীতিতে জড়িত হন, তখন তাঁর বোঝা হয় তিন গুণ। কারণ, গৃহস্থালির দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষদের কাছ থেকে নারীরা খুব কম সহযোগিতা পান। যেহেতু রাজনীতি পূর্ণকালীন প্রতিশ্রুতি দাবি করে, তাই অনেক নারী যোগ দিতে দ্বিধা করেন। দক্ষতার অভাবে নয়, বরং এই সামাজিক বাস্তবতার কারণে।
সমাজে নারীর অবস্থা যখন এই, তখন তাঁদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা অত্যন্ত কঠিন। রাজনীতি প্রায়ই সংঘাতপূর্ণ হয়; সহিংস পরিস্থিতিতে নারীদের নিরুৎসাহিত করা হয়। সংঘাত নিরসনে তাঁদের ভূমিকা রাখার প্রস্তুতি ও দক্ষতা থাকলেও তাঁরা তা করতে পারেন না, কারণ তাঁদেরকে মনে করা হয় দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক।
নারী বিষয়ে কমিশন
এই কাঠামোগত বাধা সত্ত্বেও জুলাইয়ের গণ–অভ্যুত্থানের ফলে তৈরি হওয়া নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মগুলো এবং অন্তর্বর্তী সরকার নারীদের রাজনৈতিক কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করার সুযোগ তৈরি করবে, এমন আশা ছিল। অথচ সরকার নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনে দেরি করেছে এবং সেই কমিশনের প্রতিবেদনটি নিয়ে কমিশনের সদস্যরা যখন হয়রানি ও হুমকির মুখে পড়েছেন, তখন সরকার তার নিজ কমিশনের সদস্যদের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় ওই প্রতিবেদনের পরামর্শগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এর ফলে নারীরা প্রতারিত বোধ করেছেন, বুঝেছেন যে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো তাঁদের উদ্বেগকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
তবু সংস্কারপ্রক্রিয়ার ওপর আস্থা রেখে, সংবিধান ও নির্বাচন কমিশনবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাব অনুসরণ করে সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ ছিল। আমরা আশা করেছিলাম, কয়েক দশক ধরে সংরক্ষিত আসন প্রকৃত ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ার পর এবার অন্তত সরাসরি নির্বাচনের দিকে মনোযোগ স্থানান্তরিত হবে।
সরাসরি বনাম সংরক্ষিত
সমাজ যদি এখনো পূর্ণাঙ্গ প্রত্যক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত না হয়, তাহলে সংরক্ষিত আসনগুলো অস্থায়ীভাবে অব্যাহত থাকতে পারে, কিন্তু তা করতে হবে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে। নারী আন্দোলনের দাবি ছিল, রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণ আসনের জন্য মনোনীত নারী প্রার্থীর হার বৃদ্ধি করবে। জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কমিটিগুলোতে ৩০ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার কথা। কিন্তু তা পূরণ করতে দলগুলো বারবার ব্যর্থ হয়েছে।
রাজনীতিতে নারীদের জন্য আরেকটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হলো নির্বাচনী খরচ। অর্থের ভূমিকা বিবেচনা করে ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে সরকারের জেন্ডার বাজেট কাঠামোর অংশ হিসেবে সব নারী প্রার্থীর প্রচারের ব্যয় বহন করা উচিত।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার হতাশাজনক ফল হচ্ছে, নারীদের জন্য ৩৩ শতাংশ মনোনয়ন বিষয়ে অনীহা। সংরক্ষিত আসনগুলো রয়ে গেছে, কিন্তু সরাসরি নির্বাচনের কোনো পদক্ষেপ ছাড়াই জুলাই সনদ স্বাক্ষর করা হয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়নের বাধ্যবাধকতা রেখে। জুলাই সনদের আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দলের অনেকগুলোরই প্রকৃত জনসমর্থন প্রায় নেই, তারপরও আলোচনায় তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, অথচ জনসংখ্যার অর্ধেকের প্রতিনিধিত্ব সেখানে ছিল না।
বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের দীর্ঘ ইতিহাস এবং গণ–অভ্যুত্থানে অনন্য সাহসী ভূমিকা সত্ত্বেও আলোচনা প্রক্রিয়া থেকে নারীদের সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া কেবল আয়োজকদের ব্যর্থতাই নয়, সরকার এবং মানবাধিকার ও নারী অধিকারের চ্যাম্পিয়ন এনজিও নেতাদের জন্যও লজ্জাজনক।
একটি অনন্য সুযোগ সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো হারিয়েছে। ঐকমত্য গঠনের প্রক্রিয়াটি নারী, শ্রমিক, কৃষিজীবী, আদিবাসী, লিঙ্গবৈচিত্র্যপূর্ণ সম্প্রদায় এবং অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীকে নিয়ে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে পারত। জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হওয়ায় আমরা সেই সুযোগ হারিয়েছি। নামমাত্র ৫ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব এবং নারী-কৃষক-শ্রমজীবী সাধারণ মানুষদের অধিকার বা অংশগ্রহণ সম্পর্কে উল্লেখহীন এ সনদ কয়েকটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীর ‘এলিট বয়েজ ক্লাবের’ সনদে পর্যবসিত হয়েছে, যা কিনা দেশকে ‘বর্বরতা থেকে সভ্যতা’য় নিয়ে আসার দাবি করে। এই দাবি ও এই সনদকে তাই প্রান্তিক জনগণ প্রত্যাখ্যান করে।
নারীর রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের সংগ্রাম তাঁর হয়ে কেউ করে দেবে না, তার প্রয়োজনও নেই। এ লড়াই নারীদেরই এগিয়ে নিতে হবে। এ লড়াইয়ের পথ দীর্ঘ। নারীরা এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন—আগামী দিনগুলোতে আরও দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার প্রস্তুতি।