দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর দুটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ। আগামী নির্বাচন নিয়েও আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে বলে বিশিষ্টজনেরা মত দিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক কর্মশালা। বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে
ছবি: প্রথম আলো

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর গত দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। দলীয়করণের ফলে নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় প্রশাসন ও পুলিশ গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। ফলে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলেন,  এমন পরিস্থিতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আস্থার সংকট ও ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত কর্মশালায় বিশিষ্টজনেরা এমন মতামত দিয়েছেন। ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এই কর্মশালায় অংশ নেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকারবিশেষজ্ঞ, সাবেক সচিব, সাবেক রাষ্ট্রদূত, সম্পাদক, সাংবাদিক ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা। তাঁরা নির্বাচন নিয়ে নিজেদের প্রত্যাশার পাশাপাশি নানা আশঙ্কা, বর্তমান পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক সমঝোতার মতো বিষয়ে মতামত দেন।

আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গতকাল সকালে শুরু হওয়া কর্মশালা টানা তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে। কর্মশালায় তিনটি পর্ব ছিল। শুরুতে চারজন আলোচক বক্তব্য দেন।

১৫ বছরে ব্যাপক দলীয়করণ হয়েছে। যাঁরা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাঁদেরও দলীয়করণ হয়েছে।
আলী ইমাম মজুমদার সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব

এরপর চারজন পর্যালোচক তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। শেষ পর্বে বেশ কয়েকজন অতিথি মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কর্মশালা শেষ হয়।

দলীয় সরকারের অধীনের চ্যালেঞ্জ

নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক কর্মশালায় আলোচকদের একাংশ। বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে
ছবি: প্রথম আলো

প্রথম আলোচক ছিলেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পরের দুটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়, এটিকে অমূলক বলে মনে করি না। ২০১৪ সালে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে বিরোধী দল ও জোট নির্বাচনে যাওয়ার পরেও ভোটার ও প্রার্থীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ অনুপস্থিত ছিল। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই ভোট হয়ে গেছে। অনেকের মতে, আগের রাতেই ভোট হয়ে গেছে। অর্থাৎ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান তাঁর বক্তব্যে ২০১৮ সালের নির্বাচনে দুটি সংসদীয় আসনের ফল নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাগমারা আসনটিতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ ১ লাখ ৯০ হাজার আর বিএনপি পায় ১৪ হাজার ভোট। আবার ২০০৮ সালের নির্বাচনে নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির মওদুদ আহমদের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। অথচ ২০১৮ সালে ৪১ হাজার ভোটে জেতেন ওবায়দুল কাদের।

আমাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ রাজনীতিবিদেরা যদি তৈরি করে না দেন, তাহলে আমাদের পক্ষে নির্বাচন করাটা কষ্টসাধ্য হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার

আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, এসব ঘটনা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এটি ভালো নির্বাচনের উদাহরণ নয়। সরকার না চাইলে ভালো নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সরকার কী চায়, তার ওপর ইসির পারদর্শিতা (পারফরম্যান্স) নির্ভর করবে। তিনি আগামী নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য ইসিকে পরামর্শ দেন।
নির্বাচনব্যবস্থাকে একটি খোঁয়াড়ের মতো বানিয়ে ফেলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সাংবাদিক মাসুদ কামাল। তিনি বলেন, ‘একটি খোঁয়াড়ের মতো বানিয়ে তাতে সবাইকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর বলা হচ্ছে, তোমরা ঠিক করো কোথায় বসবা, কিন্তু খোঁয়াড়ের বাইরে যেতে পারবে না। সেই খোঁয়াড় ভাঙতে হবে। এর দায়িত্ব নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।’

দ্য ডেইলি অবজারভার–এর অনলাইন ইনচার্জ কাজী আবদুল হান্নান বলেন, নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। সরকারকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন করলে তা সুষ্ঠু হবে না, এই আস্থার সংকট দূর করতে নির্বাচন কমিশন কী করেছে? সভা-সেমিনার, আরপিও সংশোধন করে আস্থা ফেরানো যাবে না। কাজের মধ্য দিয়েই আস্থা অর্জন করতে হবে।

বিশিষ্টজনদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচন আমাদের জন্য খুব সহজ নয়। আমরা একটা কঠিন অবস্থায় আছি। এটা বিলেতের নির্বাচন হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন হচ্ছে না। সংকট আছে, আপনারা বলেছেন, আমরাও অনুধাবন করি। সেই সংকট নিরসন করতে হবে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে।’ তাঁর মতে, নির্বাচনটা ভালো হবে কি না, সেটা নির্ভর করছে রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বারবার বলেছি, আমাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ রাজনীতিবিদেরা যদি তৈরি করে না দেন, তাহলে আমাদের পক্ষে নির্বাচন করাটা কষ্টসাধ্য হবে।’

প্রশাসন-পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) বলেছেন, আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। এই ডিসিকে দিয়েই আপনাকে নির্বাচন করাতে হবে। আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কীভাবে প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করবেন। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে দেখলাম একজন বৈধ প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছে। কিন্তু ওই কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

স্থানীয় সরকারবিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্লজ্জভাবে, নিয়ম ভঙ্গ করে সরকারি কর্মকর্তারা একটি দলের পক্ষে ভোট চাইছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে কী করছে? পুলিশের একজন উপপরিদর্শক একটি ভোটকেন্দ্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দিতে পারেন। পুরো নির্বাচনপ্রক্রিয়ার ৩০ শতাংশ ইসির হাতে, বাকি ৭০ শতাংশই বিভিন্ন অংশীজনের কাছে।

সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান বলেন, ‘ডিসি-ওসিরা বক্তব্য দেন, কাকে জেতাতে হবে। আমরা এখানে ভালো নির্বাচন করা নিয়ে আলোচনা করব। আর মাঠে কর্মকর্তারা বলবেন, কাকে জেতাতে হবে। এসব কর্মকর্তার বিষয়ে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, গত ১৫ বছরে ব্যাপক দলীয়করণ হয়েছে। যাঁরা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাঁদেরও দলীয়করণ হয়েছে।

এসব বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, জামালপুরের জেলা প্রশাসক নির্বাচনের সময় হয়তো রিটার্নিং কর্মকর্তা হবেন। তাই একজন জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে এমন বক্তব্য কাঙ্ক্ষিত নয়। বিশিষ্টজনদের বক্তব্য সরকার, পুলিশ, প্রশাসনের ওপর কিছুটা হলেও মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি করবে।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের গুরুত্বারোপ

সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রধান চ্যালেঞ্জ সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করা। সব দল যেন নির্বাচনে আসে, সে বিষয়ে ইসিকে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন তিনি।

এম সাখাওয়াত হোসেনের মতে, ৩৩ শতাংশ জনসমর্থন থাকা একটি বড় দল না এলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দুই ক্ষেত্রেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, এখন একটা ভীতিজনক পরিবেশ বিরাজমান। সরকারি ও বিরোধী দুই পক্ষের মধ্যেই অজানা আশঙ্কা কাজ করছে। তাঁর মতে, ‘মানুষ প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে, এর মধ্যে ইসিও রয়েছে। সব দলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। জনগণ যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে।’

ভোরের কাগজ–এর সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, আপাতদৃষ্টিতে বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের কোনো সমাধান দেখা যাচ্ছে না। নির্বাচনব্যবস্থা বিশ্বাসহীনতায় ভুগছে। রাজনৈতিক দল, সরকার ও ইসির মধ্যে ফাঁক রয়ে গেছে। নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মাঠে আন্দোলন চলছে, এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজন কঠিন।

জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ইসির উদ্দেশে বলেন, ‘দিনের ভোট দিনে করবেন—এটিকে ঘোষণা হিসেবে না রেখে ব্যবস্থা নেবেন।’

ইসির ক্ষমতা বাড়ল না কমল

কর্মশালায় পর্যালোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সভাপতি হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের ধারণা, আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধনীর মাধ্যমে ইসি নিজেদের ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা ছিল, সিইসির সক্ষমতা আরও বাড়বে। ক্ষমতা বাড়ার বদলে কমেছে। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষ হতাশ।

এই বক্তব্যের মাঝখানে মাইক্রোফোন নিয়ে কথা বলেন সিইসি হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সক্ষমতা কমিয়েছি, এটা সম্পূর্ণ অপপ্রচার। গণমাধ্যমের একটি বিষয় থাকে, ইসিকে খাটো করে দেখানো। জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সারা দেশে প্রচার হচ্ছে, ইসি নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছে। ইসি মাথা নিচু করে সরকারের পক্ষে চলে গেছে, এটা মোটেই সত্য নয়।’ সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারেনি। সাধারণের ধারণা, সরকারকে জেতাতে দস্তখত করে ফেলেছে। এতটা কাওয়ার্ড হইনি। এতটা নৈতিকতা বিবর্জিত হইনি।’

কর্মশালায় মুক্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত, রেজোয়ানুল হক, আশীষ সৈকত, শেখ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

চায়ের টেবিলে বসেন

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক বিপরীতধর্মী মতকে কাছাকাছি আনার কোনো উদ্যোগ নেই। দলগুলোর মধ্যে নেই, নাগরিক সমাজের মধ্যেও নেই।
বড় দুই দলের সমঝোতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন সাংবাদিক মাহবুব কামাল। তিনি বলেন, সমঝোতা ছাড়া যত আলোচনাই হোক, তা ফলপ্রসূ হবে না। অতীত অভিজ্ঞতা বলে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, একটা সমঝোতার কথা। আপনারা চায়ের টেবিলে বসেন। কিন্তু যে পলিটিক্যাল কালচার এমন হয়েছে, কেউ কারও সঙ্গে বসতে চাচ্ছেন না। ইসি এ সমস্যার সমাধান করে না। দেশজ পদ্ধতিতে এটা (সমাধান) হতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক যে সে ধরনের সিভিল সোসাইটি দেখতে পাচ্ছি না।’

আলোচনা পর্ব শেষে বর্তমান সরকারের প্রতি নিজের আস্থার কথা জানিয়ে সিইসি কর্মশালার সমাপনী টানেন। তিনি বলেন, ‘সরকারের তরফ থেকে ইদানীং বারবার বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনকে তাঁরা সুষ্ঠু করতে চান। প্রধানমন্ত্রীও স্পষ্টভাবে কয়েকবার বলেছেন, সরকার আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। আমি আস্থা রাখতে চাই।’