গৃহশ্রমিকদের সাপ্তাহিক ও মাতৃত্বকালীন ছুটি শ্রম আইনে রাখতে হবে

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অক্সফাম বাংলাদেশের সহায়তায় এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র (বিএনএসকে)ছবি: বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের সৌজন্যে

গৃহশ্রমিকদের অধিকার নিয়ে অধিকারকর্মী ও সংগঠনগুলোকে সোচ্চার হতে হবে। গৃহশ্রমিকদের সাপ্তাহিক, মাতৃত্বকালীন ও অসুস্থতাজনিত ছুটি দিতে হবে। এ বিষয়গুলো শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। ১৬ জুন আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক দিবস উপলক্ষে আজ রোববার আয়োজিত এক পরামর্শ সভায় এ কথা বলেন বক্তারা।

আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অক্সফাম বাংলাদেশের সহায়তায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্র (বিএনএসকে)।

এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের বাইরে গৃহশ্রমিকদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। চনপাড়া, রূপগঞ্জ, সাভার, মোহাম্মদপুর ও কল্যাণপুর এলাকা থেকে আসা ৪০ গৃহশ্রমিক এই আয়োজনে অংশ নেন।

পরামর্শ সভায় ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’ নিয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, জুলাই মাসে শ্রম আইন সংশোধন করা হবে। এর আগেই যাঁরা গৃহশ্রমিকদের নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের একসঙ্গে গৃহশ্রমিকদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডোমেস্টিক ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবুল হোসেন বলেন, গৃহশ্রমিকদের সাপ্তাহিক, মাতৃত্বকালীন ও অসুস্থতাজনিত ছুটি থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেন তিনি।

জাতীয় প্রেসক্লাবের বাইরে গৃহশ্রমিকদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়
ছবি: বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের সৌজন্যে

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য এ টি এম নাসিম, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য হালিদা হানুম আখতার, অক্সফাম বাংলাদেশের কর্মসূচি কর্মকর্তা (জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন) খাদিজা আক্তার অন্তরা। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের (বিএনএসকে) নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম।

সভায় মুক্ত আলোচনায় গৃহশ্রমিকেরা সাপ্তাহিক ছুটি, অসুস্থতাজনিত ছুটি এবং মাতৃত্বকালীন ছুটি পাওয়ার অধিকারসহ তাঁদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫–কে আইনে রূপান্তর করার দাবি জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন গৃহকর্মী নারী ফোরামের সদস্য পান্না বেগম ও শিউলি বেগম।