লালমনিরহাটের বিমানবন্দর পুনরায় চালু করতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট

হাইকোর্টফাইল ছবি

লালমনিরহাটের বিমানবন্দর পুনরায় চালু করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিমানবন্দরটি পুনরায় চালুর জন্য প্রক্রিয়া গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়েও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ রুল দেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে ‘৬০ বছরেও চালু হয়নি লালমনিরহাট বিমানবন্দর’ শিরোনামে গত বছরের ৫ অক্টোবর একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এটিসহ লালমনিরহাটের পরিত্যক্ত বিমানবন্দর নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন চলতি বছরের ২৮ জুলাই রিটটি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৩১ সালে লালমনিরহাটে বিমানবন্দরটি নির্মাণ করা হয় বলে জানান রিট আবেদনকারী আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এক হাজার ১৬৬ একর জায়গায়জুড়ে বিমানবন্দরটির অবস্থান। ১৯৪৭ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই বিমানবন্দর ব্যবহৃত হয়েছিল। তবে বিশ্বযুদ্ধ–পরবর্তী সময়ে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত কিছু পরিষেবা সীমিত পরিসরে চালু থাকে। এর পর থেকে বিমাবন্দরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ২০১৯ সালের বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, একই বছরের ১৩ মার্চ বিমানবাহিনীর তৎকালীন প্রধান বিমানবন্দরের স্থান পরিদর্শনও করেন। তবে পরিদর্শনের পর পুনরায় বিমানবন্দরটি চালু করা কিংবা কার্যক্রম শুরু করায় সক্রিয় কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। বিমানসুবিধাসহ চলাফেলার সুযোগ–সুবিধার দিক বিবেচনায় সেখানকার বাসিন্দারা বঞ্চিত, যা সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ সমর্থন করে না। এসব কারণে রিটটি করা হলে শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই রুল দিয়েছেন।