‘পিউলার প্রো’ এবং ‘চারমো’ সিরিজের এসি নিয়ে এল গ্রী

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবং গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে গ্রী এসিতে যুক্ত করা হয়েছে নতুন নতুন প্রযুক্তি, যেন মানুষের দৈনন্দিন জীবনে আসে স্বাচ্ছন্দ্য। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের ‘অনলাইন এসি মেলা’য় বেশ কিছু নতুন মডেলের এসি নিয়ে এসেছে গ্রী। সেগুলোর মধ্যে ‘পিউলার প্রো’ এবং ‘চারমো’ সিরিজ উল্লেখযোগ্য। এই এসিগুলো নানা রঙের হয়, ফলে গ্রাহকেরা নিজেদের ঘরের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে এসি কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

গ্রী এসির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এটি বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী। গ্রী এসিই প্রথম নিয়ে এসেছে জি বুস্ট কম্প্রেসর, যার ফলে ৬১ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় হয়। দীর্ঘক্ষণ এসি রুমে থাকলে ব্যাকটেরিয়ার কারণে অনেকের হাঁচি-কাশিজনিত সমস্যা হয়। গ্রী এসিতে থাকা ‘কোল্ড প্লাজমা প্লাস’ টেকনোলজি রুমের ভেতরে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে ৯৯.৯ শতাংশ পর্যন্ত পরিষ্কার করে নির্মল বাতাস সরবরাহ করে। ফলে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায় গ্রী এসি।

অনেক বছর ধরেই বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। বিষয়টিকে মাথায় রেখে দূষণমুক্ত বাতাসের জন্য গ্রী এসিতে যুক্ত করা হয়েছে ‘ক্লিন বিথিং’ টেকনোলজি। যেখানে থাকা সাত ধরনের ফিল্টারের কারণে গ্রী এসি দেয় শতভাগ বিশুদ্ধ বাতাস। পাশাপাশি গ্রী এসি পঁয়ষট্টি ডিগ্রি তাপমাত্রা পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে চলতে সক্ষম। এ ছাড়া গ্রী এসিতে থাকা ‘আই ফিল টেকনোলজি’ সেন্সরের মাধ্যমে ঘর ও বাইরের তাপমাত্রা সমন্বয় করে সহনীয় ও সঠিক তাপমাত্রা সরবরাহ করে।

বাংলাদেশে কিছু কিছু এলাকার আবহাওয়া লবণাক্ত এবং বাণিজ্যিক এলাকায় এসির স্থায়িত্ব বেশি দিন হয় না। কম্প্রেসর বা কনডেনসার লিকেজ হয়ে যায়। এ কারণে গ্রী এসিতে যুক্ত করা হয়েছে ‘অ্যান্টি করেসান’ নামক নতুন প্রযুক্তি। যার কারণে গ্রী এসি যেকোনো আবহাওয়ায় ব্যবহারের উপযোগী। এ ছাড়া বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে অনেক সময় বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটে। গ্রী এসিতে ‘ওয়াইড ভোল্টেজ রেঞ্জ’ থাকার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাটেও এসির কোনো সমস্যা হয় না।

বর্তমানে বিশ্বজুড়েই পরিবেশ রক্ষায় নানা রকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইলেকট্রনিকস ডিভাইসের দ্বারা পরিবেশের ক্ষতি রক্ষার্থে গ্রী এসিতে যুক্ত করা হয়েছে সর্বাধুনিক ‘আর-থার্টি টু’ গ্যাস। ফলে গ্রী এসি শতভাগ পরিবেশবান্ধব।

এ ছাড়া গ্রী এসির ‘সবার জন্য ভালো অফার’-এর আওতায় কর্মজীবী ও শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে ১২ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়-সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি রয়েছে বাংলাদেশের সব ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে শূন্য শতাংশ সুদে ‘ইএমআই’ সুবিধা। এ ছাড়া সহজ কিস্তির মাধ্যমে ৩০ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের মাধ্যমে গ্রী এসি কেনার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা।

ভবিষ্যতেও মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ ও আরামদায়ক করতে কাজ করে যাচ্ছে গ্রীর রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগ। গ্রাহকদের প্রয়োজন ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে নতুন নতুন প্রযুক্তির যুক্ত করা হবে গ্রী এসিতে।