ওষুধের বেআইনি মূল্য নির্ধারণ রোধ ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

সব ধরনের ওষুধের ‘বেআইনি মূল্য নির্ধারণ’ রোধে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি ও ওষুধ উৎপাদন এবং বিদেশি ওষুধ বিক্রি থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরত রাখতে স্বাস্থ্যসচিব ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

‘ওষুধের দাম গড়ে ৩৫% বেড়েছে’, ‘দুই সপ্তাহে ওষুধের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১৪০ শতাংশ’—এ দুটিসহ ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে চলতি মাসে রিটটি করা হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন কুমার বড়ুয়া ও ফুয়াদ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।

পরে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওষুধের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঔষধ প্রশাসনে আবেদন করে ক্যাব। কিন্তু তাতে ফল না হওয়ায় রিটটি করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ ওই আদেশ দেন।’

রুলে ২০২৩ সালের ঔষধ ও কসমেটিকস আইনের বিধান অনুসারে সব ধরনের ওষুধের মূল্য নির্ধারণে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইনের বিধান অনুসারে বিধিমালা প্রণয়নের পর ওষুধের মূল্য নির্ধারণ কেন করা হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।