সচেতনতা ও সঠিক চিকিৎসাই পারে ছত্রাকজনিত প্রদাহ ঠেকাতে

‘ছত্রাকজনিত রোগ সচেতনতা সপ্তাহ ২০২৩’ উপলক্ষে গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস
ছবি: সংগৃহীত

‘ছত্রাকজনিত রোগ সচেতনতা সপ্তাহ ২০২৩’ উপলক্ষে গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস এবং অনলাইনভিত্তিক মেডিক্যাল প্ল্যাটফর্ম ‘বিডি ফিজিসিয়ান’। গতকাল সোমবার এই গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এটি সরাসরি সম্প্রচার হয় প্রথম আলো ও এসকেএফের ফেসবুক পেজে।

গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দেশবরেণ্য চর্মরোগ বিশেষজ্ঞসহ অন্য চিকিৎসকেরা। ফাঙ্গাল ইনফেকশন (ছত্রাকজনিত প্রদাহ) রোধে নানা রকম সচেতনতার কথা তুলে ধরেন তাঁরা।

গোলটেবিল আলোচনায় সূচনা বক্তব্য দেন অধ্যাপক এ জেড এম মাইদুল ইসলাম। ত্বকের বিভিন্ন প্রকার ছত্রাকজনিত প্রদাহ সহজে চেনার উপায় সম্পর্কে জানান অধ্যাপক হাসিবুর রহমান। ছত্রাকজনিত প্রদাহের বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপক মাসুদা খাতুন। ছত্রাকজনিত প্রদাহের ব্যাপকতার কারণ সম্পর্কে বলেন অধ্যাপক আনজিরুন নাহার আসমা।

অধ্যাপক মো. আসিফুজ্জামান বলেন ছত্রাকজনিত প্রদাহের কার্যকর চিকিৎসা নিয়ে। প্রচলিত অপচিকিৎসা ও এর কুফল সম্পর্কে আলোচনা করেন অধ্যাপক মো. মুজিবুর রহমান। ফাঙ্গাল ইনফেকশন রেজিস্ট্যান্স বা চিকিৎসা কার্যকর না হওয়ার কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন ইমরোজ মোহিত।

ছত্রাকজনিত প্রদাহের গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পরামর্শ ও প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন অধ্যাপক এম ইউ কবির চৌধুরী। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কাজী তারিকুল ইসলাম এ বিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও পরামর্শ দেন।

এ ছাড়া প্রসূতি রোগীদের ছত্রাকজনিত প্রদাহের চিকিৎসা ও পরামর্শ এবং ডায়াবেটিসের রোগীদের ফাঙ্গাল ইনফেকশন চিকিৎসা, পরামর্শসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপক রেজাউল করিম কাজল ও অধ্যাপক শাহজাদা সেলিম।

বাংলাদেশের উষ্ণ আবহাওয়া, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা মেনে না চলা, খাদ্যাভ্যাস, সঠিক পোশাক ব্যবহার না করা, ভিটামিনের ঘাটতি, যত্রতত্র স্টেরয়েড–জাতীয় ওষুধ ব্যবহার, ওষুধের সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণ না করা, সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় না করা ইত্যাদি নানাবিধ কারণে দিন দিন ছত্রাকজনিত প্রদাহ বেড়ে চলছে বলে জানান বক্তারা। ছত্রাকজনিত প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতার ওপর জোর দেন তাঁরা। পাশাপাশি সব সময় পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, বাড়ি বা কর্মক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন শৌচাগার ব্যবহার করা, ওষুধের দোকানি বা পরিচিতজনের কথা না শুনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণের পাশাপাশি মানসম্পন্ন ওষুধ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেন আলোচকেরা।

বক্তারা বলেন, ছত্রাকজনিত প্রদাহ পুরোনো রোগ হলেও সম্প্রতি এ রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। তাই সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় এবং সঠিক মাত্রায় ওষুধ সেবন করতে হবে। সচেতনতা এবং সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসাই এ রোগ থেকে মুক্তির অন্যতম উপায়।

গোলটেবিল আলোচনায় এসকেএফের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এসকেএফ প্রতিনিয়ত বিশ্বমানের ওষুধ তৈরি করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসকেএফের ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাসিলিটি ইউএস এফডিএ, ইউকে এমএইচআরএ এবং টিজিএ অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্বমানের কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা দ্বারা অনুমোদিত। এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস বিশ্বমানের ওষুধ প্রস্তুত করে দেশের মানুষের কাছে সহজলভ্য করার পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করছে।’

অনুষ্ঠানের সায়েন্টেফিক পার্টনার ছিল এসকেএফের অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ লুলিজল। সঞ্চালনায় ছিলেন এসকেএফের মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মুরাদ হোসেন।

আরও পড়ুন