সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষের সংখ্যা বিআরটিএর তথ্যের চেয়ে ৭ গুণ বেশি: যাত্রীকল্যাণ সমিতি

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতিছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ২০২৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মানুষের যে তথ্য দিয়েছে, তার চেয়ে সাত গুণ বেশি মানুষ আহত হয়ে সাতটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি বিআরটিএর কাছে প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য কম থাকা এবং হাসপাতালের তথ্য না আসার কারণ জানতে চেয়েছে।

আজ সোমবার বিআরটিএর চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে যাত্রীকল্যাণ সমিতি এসব কথা বলেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীকল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিবেদন খতিয়ে দেখার নামে নানাভাবে হয়রানি ও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। যাত্রীকল্যাণ সমিতিসহ যেসব সংগঠন সংবাদপত্র পর্যবেক্ষণ করে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে সেখানে দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না। প্রকৃত চিত্র উঠে এলে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবের চেয়ে ভয়াবহ চিত্র উঠে আসবে।

২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিআরটিএ। যাত্রীকল্যাণ সমিতি বলেছে, বিআরটিএর হিসাবে গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৪৯৫ জন আহত হয়েছেন। কিন্তু দেশের সাতটি হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল, ঢাকা মেডিকেল, খুলনা মেডিকেল, কুমিল্লা মেডিকেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও নারায়ণগঞ্জের খানপুর হাসপাতাল) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জরুরি বিভাগে ৫৩ হাজার ২০৭ রোগী ভর্তি হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

যাত্রীকল্যাণ সমিতি বলেছে, দেশের ৬৪টি জেলা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৬ জন রোগী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন। সেই হিসেবে বছরে এসব হাসপাতালে ১ লাখ ৪০ হাজার ১৬০ জন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগী ভর্তি হচ্ছে। আগামীতে দেশের আট হাজার সরকার নিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের তথ্য জানানো হবে বলে জানিয়েছে যাত্রীকল্যাণ সমিতি।