স্বামীর হাত ধরে রাজনীতিতে, টানা চতুর্থবার হলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

নিলুফা মমিনছবি সংগৃহীত

প্রয়াত স্বামী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা, তাঁর হাত ধরেই বিয়ের পর রাজনীতিতে জড়ান নিলুফা মমিন। রাজনীতির সূত্র ধরেই ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো নোয়াখালীর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। প্রথমবারেই বিপুল ভোটে জয় হয় তাঁর। এরপর ২০১৪, ২০১৯ ও গত ২৯ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও একই পদে জয়ী হয়েছেন তিনি।

চতুর্থবারের নির্বাচনে নিলুফা মমিন ৪৫ হাজার ৮১৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ভোটের ব্যবধান ২ হাজার ৬৩ ভোট। টানা চতুর্থবার একই পদে নির্বাচিত হয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি।

নিলুফা মমিন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক মমিন উল্যাহর স্ত্রী। তিনি নিজে ২০০৭ সাল থেকে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর পদে রয়েছেন। তবে টানা জয়ের পেছনে স্বামীর পরিচয়ই মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিমত তাঁর। নিলুফা মমিন বলেন, ‘আমার স্বামী পেশায় আইনজীবী ছিলেন। নিজের পেশা ও রাজনীতি দিয়ে অনেক মানুষের উপকার করেছেন। এই উপকারভোগী মানুষ স্বামীর কথা মনে রেখে আমাকে ভোট দেন। আমি ভোটের জন্য গেলে বলেন, আমরা আপনাকে নয়, স্যারকে ভোট দেব, স্যারের ঋণ কখনো শোধ করতে পারব না।’

নিলুফা মমিনের সঙ্গে মমিন উল্যাহর বিয়ে হয় ১৯৭৮ সালে। তখন তিনি সবে মাধ্যমিকের পাঠ শেষ করেছেন। স্বামীর রাজনৈতিক কার্যক্রম দেখে এ সময় তিনি নিজেও রাজনীতিতে আগ্রহী হন, একপর্যায়ে জড়িয়ে পড়েন। সংসারের গৃহস্থালির কাজ সামলানোর পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শুরু করেন।

নিলুফা মমিন বলেন, ১৯৮১ সালে তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, ২০০৫ সালে সম্পাদক ও ২০০৭ সালে তিনি জেলা সভানেত্রী নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে দলের সভায় তাঁকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী করার প্রস্তাব করা হয়। তখন স্বামীর উৎসাহে তিনি প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।

উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নারীদের অধিকার নিয়ে ভূমিকা রাখতে চান নিলুফা মমিন। তিনি বলেন, ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, নারীদের স্বাবলম্বী করা ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ নিয়ে আমি অতীতেও সক্রিয় থেকেছি। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে চাই।’