অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে ইসি আইন প্রণয়নের দাবি টিআইবির

নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তবে টিআইবি মনে করে, সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও নাগরিক সমাজের মতামত এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া আইনটি পাস করা হলে এর গ্রহণযোগ্যতা যেমন প্রশ্নবিদ্ধ হবে, তেমনি কার্যকারিতা নিয়েও নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে না।

আইনটির খসড়া অবিলম্বে সবার জন্য উন্মুক্ত করারও দাবি জানিয়েছে টিআইবি। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে আইনের খসড়ায়, যা আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু সার্চ কমিটির জন্য কিছু সাধারণ মানদণ্ড নির্ধারণ করার বাইরে খসড়া আইনে কী আছে, তা অজানা। সার্চ কমিটিতে নারী প্রতিনিধি থাকবে কি না, কমিটিতে যে দুজন নাগরিক প্রতিনিধি রাখার কথা বলা হচ্ছে, তাদের যোগ্যতার মাপকাঠি কী হবে, কমিটির কর্মপদ্ধতি, কমিটির প্রস্তাব করা নামসমূহ প্রকাশ করা হবে কি না, সেটিও অজানা।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ও অন্য কমিশনারদের যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অবস্থান সমুন্নত রাখার মতো সৎসাহস ও দৃঢ়তাসম্পন্ন হবেন—এই নিশ্চয়তা বিধানের পদ্ধতি আইনে অন্তর্ভুক্ত করা অপরিহার্য। এ জন্য অবিলম্বে আইনটির খসড়া উন্মুক্ত করে সংশ্লিষ্ট অংশীজনসহ নাগরিক সমাজের মতামতের ভিত্তিতে আইনটি চূড়ান্ত করতে হবে।