অগ্রণী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এমডি মিজানের জামিন

দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার হওয়া অগ্রণী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান খান জামিন পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে জামিন দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।

মিজানুর রহমান খানের পক্ষে আদালতে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও কাজী নজীবুল্লাহ হীরু। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল, মীর আলী আবদুস সালাম ও জাহাঙ্গীর হোসেন।

গত ৩০ জুন বিকেলে মিজানকে গ্রেপ্তার করে দুদক। মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মুন গ্রুপকে ১০৮ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া এবং পর্যায়ক্রমে ৯৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগে করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই তিনিসহ আটজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

ওই মামলার এজাহারভুক্ত আরও দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন ব্যাংকটির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. আখতারুল আলম ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিউল্লাহ। মামলার অন্য আসামিরা হলেন ব্যাংকটির অপসারিত এমডি সৈয়দ আবদুল হামিদ, মুন গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মো. মোফাজ্জল হোসেন, ডিজিএম (অবসরপ্রাপ্ত) আমিরুল ইসলাম, প্রধান শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যদের লাভবান করে প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন। রাজধানীর কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড–সংলগ্ন ৫৫৫ নম্বর প্লটে মিজানুর রহমানের বৈধ মালিকানা ছিল না। ওই জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল। তা ছাড়া রাজউক অনুমোদিত বৈধ নকশাও ছিল না। বিতর্কিত ওই জমিতে নির্মাণাধীন একটি ভবনের অস্বাভাবিক নির্মাণ ব্যয় ও আয় দেখিয়ে মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মুন গ্রুপকে ১০৮ কোটি টাকা ঋণ দেয় ব্যাংক। মঞ্জুর হওয়া ঋণ থেকে পর্যায়ক্রমে ৯৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা তুলে নিয়ে ব্যাংক তথা রাষ্ট্রের ওই পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।