অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ

অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম
ফাইল ছবি

জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি রফিকুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রফিকুল ইসলামকে ‘ভেন্টিলেশনে’ নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তিনি।

৮৭ বছর বয়সী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম পেটে ব্যথা নিয়ে গত ৭ অক্টোবর ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর ফুসফুসে পানি জমার বিষয়টি ধরা পড়ে। তখন থেকে বিএসএমএমইউর বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি মেডিসিন) বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম মোশাররফ হোসেনের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। পরিবারের সদস্যরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যেতে চাইলেও রফিকুল ইসলাম তাতে সায় দেননি। এর মধ্যে গত সোমবার রফিকুল ইসলামকে বিএসএমএমইউ থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।

অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের ছেলে বর্ষণ ইসলাম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিউমোনিয়ার কারণে আব্বা দুদিন তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। নিউমোনিয়াটা কাটানোর জন্য আজ সকালে তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছে। শ্বাসকষ্টে নিস্তেজ হয়ে পড়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হলো। এখন তিনি ঘুমাচ্ছেন। নিউমোনিয়ার জন্য তাঁকে একটি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে। এর জন্য পাঁচ-ছয় দিন সময় লাগে। এটা যদি কাজ করে এবং ফুসফুস যদি পরিষ্কার হয়, তাহলে তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারবেন। অ্যান্টিবোয়োটিকের ডোজের আরও তিন দিন বাকি।’ বাবার সুস্থতার জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন বর্ষণ ইসলাম।

রফিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক ও নজরুল গবেষণাকেন্দ্রের প্রথম পরিচালক ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা রফিকুল ইসলাম সেই সময়ের দুর্লভ আলোকচিত্রও ধারণ করছিলেন। তিনি অন্তত ৩০টি গ্রন্থের রচয়িতা।

রফিকুল ইসলাম বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের উপাচার্যের দায়িত্বও পালন করেছেন। ২০১৮ সালে তিনি জাতীয় অধ্যাপক হন। শিক্ষা, সাহিত্য ও গবেষণায় অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদক পেয়েছেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। ২০২১ সালের ১৮ মে সরকার তাঁকে তিন বছরের জন্য বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব দেয়।