অযত্নে ভাস্কর্য অমর একুশে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য অমর একুশে দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। কয়েক মাস আগে ভাস্কর্যের বিভিন্ন অংশ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে। কিন্তু আজও তা মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভাস্কর্যের রং পাল্টে গেছে। নামফলকটিও মুছে গেছে। শ্যাওলা ও ধুলাবালি জমেছে বিভিন্ন জায়গায়। কয়েক বছর আগে ভাস্কর্যের পেছনের দিকে একটি ফাটল সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিনেও সেই ফাটলটি মেরামত না করায় কয়েক মাস আগে সেখান থেকে বেশ বড় অংশ জুড়ে পলেস্তারা খসে পড়ে। ভাস্কর্যের বেদির চারপাশে ইটের তৈরি স্তর রয়েছে। সেখান থেকেও ইট খুলে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গার ঘাস কেটে পরিষ্কার করা হলেও ভাস্কর্যের পেছনে এবং দুই পাশে বড় হয়ে যাওয়া ঘাস কাটা হচ্ছে না। তাই দূর থেকে ভাস্কর্যটি দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কাছে গেলে অযত্নের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ ছাড়া কোনো রকম বেষ্টনী না থাকায় পথশিশুরা ভাস্কর্যের বেদিতে উঠে প্রায় রোজই খেলাধুলা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীকেও বেদিতে বসে থাকতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসনাত আল মাহাদি বলেন, ‘ভাস্কর্যটি সংস্কারের ব্যাপারে আমরা গত কয়েক বছরে কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কখনোই এটি সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেয়নি।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘পলেস্তারা খসে পড়ার বিষয়টি আমরা বেশ আগেই দেখেছি। ভাস্কর্যের স্থপতির সঙ্গে আলোচনা করে এটি সংস্কারের উদ্যোগ নেব।’
অমর একুশে ভাস্কর্যের স্থপতি জাহানারা বেগম। ১৯৯৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপাচার্য কাজী সালেহ উদ্দিন আহমেদ।