অলিম্পিক লরেল অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত ড. ইউনূস

অলিম্পিক লরেল ট্রফি হাতে ড. ইউনূস।
ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস অলিম্পিক লরেল অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন। আজ শুক্রবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁকে এই অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়। তিনি ঢাকা থেকে ভার্চ্যুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।


চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, অলিম্পিক লরেল অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব ড. ইউনূস। খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও শান্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি দিতে ২০১৬ সালে এই অ্যাওয়ার্ডের প্রবর্তন করা হয়।


২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান ড. ইউনূস। ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অলিম্পিক লরেল ট্রফি হাতে নিয়ে ছবি পোস্ট করেছেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘অলিম্পিক লরেল পেয়ে আমি সত্যি সম্মানিত এবং অভিভূত। তবে অনুষ্ঠানে আপনাদের সঙ্গে থাকতে না পেরে কষ্ট হচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) খেলাধুলার সামাজিক দিকটিকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে। আপনারা ক্রীড়াবিদেরা বিশ্বকে বদলে দিতে নেতৃত্ব দিতে পারেন। বিশ্বের তিনটি বিষয় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে কাজ করতে পারেন আপনারা। কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পারেন; দারিদ্র্যের অবসান ঘটাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত করা শূন্যে নামিয়ে আনতে পারেন, সবার মধ্যে উদ্যোক্তার শক্তি ছড়িয়ে দিয়ে বেকারত্বের হার শূন্যে নামিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। খেলাধুলার মাধ্যমে আরও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়তে অলিম্পিকের মিশনের সাফল্য কামনা করছি আমি। সবার জন্য শুভকামনা। এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি, এটি আমার কাছে বিশেষ কিছু। সবাইকে ধন্যবাদ।’


ড. ইউনূসের আগে অলিম্পিক লরেল অ্যাওয়ার্ড পান কেনিয়ার সাবেক ক্রীড়াবিদ কিপশোগে কেইনো। কেনিয়ার শিশুদের জন্য স্কুল, নিরাপদ আবাসন ও খেলাধুলার প্রশিক্ষণ দেওয়ায় তাঁকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। কেইনো কেনিয়ার অলিম্পিক কমিটির প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।