আ.লীগ সরব, বিএনপি নীরব

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের ছয়টি আসনে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রচারে সরব ছিল আওয়ামী লীগ। তবে বরাবরের মতো প্রায় নীরব ছিলেন বিএনপির প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা। 

সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর ও সদর উপজেলার আংশিক)

এই আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। গতকাল তিনি সদর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া এলাকায় বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। তাঁর নির্বাচনী এলাকায় নৌকার প্রচারণায় মাইকিং চলে। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন তাঁর স্ত্রী লায়লা নাসিম, ছেলে সাবেক সাংসদ তানভীর শাকিল ও তন্ময় মনসুর। এ ছাড়া জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সমন্বিত প্রচারণা চালিয়েছেন।

বিএনপির প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা হাতে গোনা কয়েক দিন অল্প সময়ের জন্য নির্বাচনী প্রচারণায় আসেন। কয়েক দিন ধরে তাঁর পক্ষে মুঠোফোনে ধানের শীষে ভোট চাওয়া হচ্ছে। 

সিরাজগঞ্জ-২ (সদর উপজেলার আংশিক ও কামারখন্দ)

আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ হাবিবে মিল্লাত সারা দিনই ব্যস্ত ছিলেন গণসংযোগ, নির্বাচনী জনসভা আর কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে নানা পরামর্শে। তাঁর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী শারিতা মিল্লাত। দলের নেতা-কর্মী আর সমর্থকদের নিয়ে দিনভর জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হয়েছে।

এদিকে বিপরীত চিত্র বিএনপির প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ রুমানা মাহমুদের বাসায়। গতকালও তিনি বাসায় প্রায় অবরুদ্ধ ছিলেন জানিয়ে বলেন, বাড়ির দিকে কড়া নজর রয়েছে প্রশাসনের। কর্মী-সমর্থকেরা এখানে আসতে ও বেরোতে পারছেন না। রুমানা মাহমুদের স্বামী সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন হচ্ছে এক পক্ষের জন্য। আমরা বাসায় বসে আছি।’

সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) 

এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক মো. আবদুল আজিজ সকাল থেকেই নানা কর্মসূচিতে অংশ নেন। রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন শেষে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন। গণসংযোগ করেন বিভিন্ন এলাকায়। বিকেলে তাঁর সমর্থনে উপজেলার সলঙ্গায় আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

এদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি এলাকায় ভোটের প্রচারণা চালিয়েছেন। রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির দুজন নেতা বলেন, গতকাল বিভিন্ন এলাকা থেকে চারজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভয়ে কেউই মাঠে নামতে পারছেন না। 

সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া)

আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ তানভীর ইমাম সারা দিনই নানা কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন। তাঁর সমর্থনে নৌকা প্রতীকের প্রচারণা চলেছে বিরামহীন। তবে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহসাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম খানের পক্ষে কোনো প্রচারণার খবর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী মন্তব্য করতেও রাজি হননি। 

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী)

আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ আবদুল মজিদ মণ্ডলের ছেলে আবদুল মমিন মণ্ডলের সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খানের পক্ষে নীরবে প্রচারণা চালিয়েছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা।

বিএনপির দুজন কর্মী বলেন, গতকাল বিএনপির কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাই ভয়ে কেউ সামনে আসছে না। 

সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) 

আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ মো. হাসিবুর রহমান স্বপনের পক্ষে জনসভা, গণসংযোগ সবই হয়েছে।

বিপরীত চিত্র বিএনপির প্রার্থী এম এ মুহিতের। মুঠোফোনে তাঁর পক্ষে ধানের শীষে ভোট চাওয়া হয়।