আটকদের মুক্তির দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের বিক্ষোভ মিছিল

শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ।
ছবি: আসিফ হাওলাদার

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে তৈরি হওয়া আন্দোলন থেকে পুলিশের হাতে আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। মিছিল শেষে জানানো হয়, একই দাবিতে আজ বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় সব ছাত্রসংগঠনের উদ্যোগে টিএসসি থেকে মশাল মিছিল বের করা হবে।

লেখক মুশতাক আহমেদ গত বৃহস্পতিবার রাতে কাশিমপুর কারাগারে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর প্রতিবাদ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহবাগে মশাল মিছিল করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় সেই রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। পুলিশকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা ওই মামলায় গ্রেপ্তার সাতজন কারাগারে আছেন। আজ বিকেলে ঢাকার সিএমএম আদালতে হওয়া ওই মামলার শুনানিতে তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জামিন নামঞ্জুরের প্রতিবাদে আজ বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকা থেকে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্র ইউনিয়ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের নেতা রাগীব নাঈম, ঢাকা মহানগর শাখার নেতা তাসিন মল্লিকের নেতৃত্বে এ মিছিলে ছাত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের ২৫-৩০ জন নেতা-কর্মী অংশ নেন।

মিছিলে ‘পুলিশি রাষ্ট্রের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘জেলের তালা ভাঙব, কমরেডদের আনব’, ‘পুলিশ লীগের গুন্ডারা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, কমরেডদের মুক্তি চাই’, ‘বাহ, পুলিশ চমৎকার, স্বৈরাচারের পাহারাদার’ প্রভৃতি বলে স্লোগান দেওয়া হয়।

মিছিলটি শাহবাগ মোড় ঘুরে শাহবাগ থানার সামনে দিয়ে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। সেখানে তাসিন মল্লিক বলেন, ‘স্বৈরাচারের রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার আমাদের মশাল মিছিলে হামলা করে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আমাদের ওই সাত সহযোদ্ধাকে আদালত জামিন দেয়নি। আমরা সব ধরনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস-হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে। জেল-জুলুম দিয়ে আমাদের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।

আজ সন্ধ্যা ছয়টায় আমরা সব প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন মিলে মশাল মিছিল করব৷ মিছিলটি টিএসসি থেকে শাহবাগে যাবে। মিছিলটি করা হবে আমাদের গ্রেপ্তার থাকা বন্ধু-সহযোদ্ধাদের মুক্ত করার জন্য।’